সরকারের অনুমোদন না পাওয়ায় বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ভারত সফর স্থগিত হয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি ৩টি করে ওয়ানড ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে বাংলাদেশ নারী দলের ভারত সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। জানা গেছে, ২০২৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে এই সিরিজটি। অর্থাৎ প্রায় দুই বছর পর স্থগিত সিরিজটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছর ভারত পুরুষ ক্রিকেট দলেরও বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়ে যায়। মূলত নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে সেই সিরিজটি স্থগিত করে বিসিসিআই। ওই সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল গত সেপ্টেম্বরে। সেই সিরিজটিও হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে। এখন বাংলাদেশ নারী ক্র্রিকেট দলের সঙ্গে নিজেদের মাঠে সিরিজটাও স্থগিত করল বিসিসিআই একই অজুহাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ইমেইল করে সিরিজ স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। সেখানে বলা হয়েছে, সিরিজটি মাঠে গড়াবে ফাঁকা সময়ে। সেই ফাঁকা সময়টার সম্ভাব্য কোনো তারিখ জানানো হয়নি। তবে ক্রিকেট সূচির ব্যস্ততাসহ নানা দিক বিবেচনায় এবং বিসিবির সূত্রে জানা গেছে এই সিরিজ হতে হতে ২০২৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় লাগবে।
চলতি বছরের আর মাত্র মাসখানেক বাকি। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ত ক্রিকেট সূচি আছে। আর ২০২৭ সালে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলও বেশ ব্যস্ত সময় কাটাবে। এফটিপিতে ২০২৮ সালের শুরুতে ফাঁকা সময় রয়েছে বাংলাদেশ দলের। সে বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারতীয় দলের খেলা না থাকায় সেই সময় হতে পারে এই সিরিজটি। আইসিসি অবশ্য এফটিপিতে ২০২৯ পর্যন্ত সময় রাখছে সিরিজটি আয়োজনের।

গত বছর ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। এর আগে ২০২৩ সালে মিরপুরে তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিও খেলে যায় ভারতের মেয়েরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে এবার ঘরের মাটিতেই তাদের সিরিজ খেলার কথা। তবে ভারতের সংবাদ মাধ্যমকে এক বিসিসিআই কর্মকর্তা বলেন,‘সিরিজটির জন্য এখনও সরকারি অনুমোদন মেলেনি।’ বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত হওয়ায় ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত বিকল্প একটি সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















