দলের অধিনায়ক হিসেবে বাড়তি একটা মানসিক চাপ থাকে। প্রতিপক্ষকে নিয়ে যেমন ভাবতে হয়, তেমনি ঠিক করতে হয় স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান। এর পাশাপাশি আবার দলনেতা হিসেবে ভালো পারফর্ম করার তাগিদ থাকে। তবে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এর সবই বেশ ভালোভাবে করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক হিসেবে ভালো খেলার রহস্য জানালেন তিনি।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ৩ ফরম্যাটেই বাংলাদেশের অধিনায়ক করা হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। তবে ওয়ানডের ক্যাপ্টেন্সি থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর টি-টোয়েন্টি থেকে স্বেচ্ছায় নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। টেস্ট দলের অধিনায়কত্বও ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। তবে তাকে ২০২৭ পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক থাকতে রাজি করিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এখন পর্যন্ত ১৫ টেস্টে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ দল তার অধীনে ৫ টেস্ট জিতেছে, ১টি ড্র করেছে ও ৯টি হেরেছে। বাংলাদেশের হয়ে অন্তত ৫ টেস্টে অধিনায়কত্ব করা ক্রিকেটারদের মধ্যে সাফল্যের হার অনেক বেশি শান্তর। আবার তিনি ব্যাট হাতে অধিনায়ক হিসেবেই বেশি সফল।
অধিনায়ক হিসেবে ১৫ টেস্টের ২৭ ইনিংস ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্ত এখন পর্যন্ত করেছেন ১০০৬ রান। ৩৮.৬৯ গড়ে ৪ সেঞ্চুরিতে এই রান করেছেন। আর শুধু খেলোয়াড় হিসেবে ২৩ টেস্টের ৪৪ ইনিংস ব্যাট করে ৪ সেঞ্চুরিতে ২৯.৮৩ গড়ে করেছেন মাত্র ১২৮৩ রান। অর্থাৎ অধিনায়ক শান্তর ব্যাটিং পারফর্ম্যান্স অনেক ভালো।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও ১০০ রানের ইনিংস খেলেছেন সিলেট টেস্টে। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের সাথে যৌথভাবে সর্বাধিক ৪ সেঞ্চুরি এখন তার। নেতৃত্ব কাঁধে নিয়ে ভালো করার রহস্য নিয়ে শান্ত বলেছেন,‘আমি মনে করি কেবল শুরু হয়েছে। এখনও লম্বা সময় যাওয়ার বাকি, কিন্তু ভালো শুরু হয়েছে আমি মনে করি। কিন্তু হ্যাঁ, আমি সবসময় যেটা বলি যে আমি ব্যাটিংয়ের সময় একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পছন্দ করি। আমার ভেতরে একবারের জন্যও মনে হয় না যে আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে খেলছি। চিন্তা করি যে কিভাবে একজন ব্যাটার হিসেবে অবদান রাখতে পারি। ওইটাই আসল মনোযোগ থাকে, আর যখন ফিল্ডিংয়ে থাকি তখন আমি ক্যাপ্টেন হিসেবে আমার যে দায়িত্বগুলো আছে সেগুলো আমি চেষ্টা করি পালন করার।’
ইতোমধ্যে অধিনায়ক হিসেবে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাকে ওয়ানডে থেকে কোনো আলোচনা ছাড়াই সরিয়ে দেওয়া হয়। সে কারণে টি-টোয়েন্টি ও টেস্টের নেতৃত্ব ছাড়েন। তবে আবার নিতে হয়েছে টেস্টের অধিনায়কত্ব। নেতৃত্ব না থাকার সময়টা নিয়ে শান্ত বলেছেন.‘প্রথম কিছুদিন কঠিন ছিল, সত্যি কথা বলতে। কিন্তু হ্যাঁ, তারপরে অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিলাম এবং উপভোগ করেছি পুরো সময়টা, নিজেকে সময় দিয়েছি, পাশাপাশি পরিবারকে সময় দিয়েছি। দক্ষতার দিক থেকে নিজের ক্রিকেটটা আর একটু কিভাবে উন্নতি করা যায়, মানসিকভাবে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছি। কিন্তু আমি মনে করি যে ওই সময়টা আমার খুব ভালো কেটেছে।’
জুনে অধিনায়কত্ব ছাড়ার আগে মোট ১৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত টেস্টে যা বাংলাদেশের তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ জয় পায় ৪টি। এবার দ্বিতীয় দফায় প্রথম ম্যাচেই জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















