অলিম্পিকে ঝড় তোলো কে এই শ্যুটার?

এলেন, অস্ত্র হাতে তুললেন এবং গুলি ছুড়লেন। চোখে কিংবা শরীরে নেই প্রতিযোগিতার পোষাক। তবুও তিনি জয় করে নিলেন রৌপ্য পদক। এই ঘটনায় তোলপাড় পুরো প্যারিস অলিম্পিক। এই নিয়েই এখন আলোচনা প্যারিসের সামার অলিম্পিক।

হিটম্যান খ্যাতি পাওয়া তুরস্কর ইউসুফ ডিকেচ ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে রুপা জিতেছেন। কোন শ্যুটিং গিয়ারস না পরেই প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ক্যাজুয়াল লুকে শ্যুট করেছেন একের পর এক। ওই মুহুর্তে টিভি ধারাভাষ্যকাররাও বলেছেন এটি রীতিমতো অবিশ্বাস্য।

ইউসুফ ডিকেচ অবশ্য পেশাদার অ্যাথলেট নন। চাকুরী করেন সেনাবাহিনীতে। সেনা ক্যাম্প থেকেই তিনি গিয়েছেন প্যারিস অলিম্পিকে। এটা তার পঞ্চম অলিম্পিক। এবার পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি তিনি আলোচিত হলেন তার লুকের জন্য।

শুধু তাই নয় প্যারিস অলিম্পিকে কেউ আলোচিত হলে সবার ওপরেই থাকবে ইউসুফ ডিকেচের নাম। শ্যুটিংয়ের জন্য বিশেষ কোন সরঞ্জাম ছাড়াই ক্যাজুয়াল লুকে তিনি রেঞ্জে নেমেই তিনি রৌপ্য জিতলেন।

৫১ বয়সি এই শ্যুটার তার সাফল্যের জন্য মেয়েকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। বলেন, ‘৯ বছর বয়সি কন্য বাসাকই আমার জীবনের বেঁচে থাকার প্রেরণা। খেলার আগে আমি সাধারণত আমি ফোন ধরি না। কিন্তু ম্যাচের আগের দিন ওর সাথে কথা বলার পর আমি নতুনকরে উদ্বুদ্ধ হয়েছি।’

১০ মিটার এয়ার পিস্তলে অন্য প্রতিযোগীরা যেখানে শ্যুটিংয়ের পোষাক, চোখে দামী লেন্স ও কানে শব্দ আটকানোর যন্ত্র লাগিয়ে শ্যুটিং করছিলেন তখন ইউসুফ ডিকেচ একহাত প্যান্টের পকেটে ঢুকিয়ে একের পর এক গুলি ছুড়ছিলেন আর পয়েন্ট তুলে নিচ্ছিলেন। তার এই পারফরমেন্সের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে কেউ হিটম্যান আবার কেউ হিরো হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।

এতো আলোচনা হবে এমনটা তার ভাবনায় ছিলো না। ইউসুফ বলেন, ‘আমার সুবিধার কারণে আমি এইভাবে রেঞ্জে নেমে শট নিচ্ছিলাম। প্রত্যেক শ্যুটারের নিজস্ব স্ট্যান্স থাকে আমারও তাই ছিলো’

তুরস্কের আলোচিত এই শ্যুটার আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখে আমাকে যতোটা শান্ত মনে হচ্ছিলো বিষয়টি আসলে তেমন ছিলো না। আমার মনে ভেতর ঝড় বয়ে যাচ্ছিলো।’ অলিম্পিকে পদক জেতা সহজ নয় ‍উল্লেখ করে ইউসুফ ডিকেচ বলেন, ‘২৪ বছর ধরে আমি নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে এসেছি। রৌপ্য জিতে খুশি হয়েছি তবে স্বর্ণ জিততে পারলে আরও ভালো লাগতো।

Exit mobile version