পাকিস্তানে চলমান ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সময়টা ভালো কাটছে না শ্রীলঙ্কার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে খর্বশক্তির জিম্বাবুয়ের কাছে ৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আজ স্বাগতিক পাকিস্তানের কাছে রাওয়ালপিন্ডিতে বিধ্বস্ত হয়েছে ৭ উইকেটে। এটি পাকিস্তানের এই সিরিজে টানা দ্বিতীয় জয়। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে তারা ৫ উইকেটে হারিয়ে দেয়।
আজ টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে মাত্র ১২৮ রান করতে সক্ষম হয় তারা। প্রথম দিকে বেশ ভালো শুরু করলেও চতুর্থ ওভারে দলীয় ৩১ রানেই কামিল মিশারার উইকেট হারায় লঙ্কানরা। তিনি ১২ বলে ২ চার, ২ ছয়ে ২২ রান করেন। এরপর বড় কোনো জুটিই হয়নি। জানিথ লিয়ানাগে ৩৮ বলে ৩ চার, ১ ছয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। এছাড়া কুসল পেরেরা ১৯ বলে ২ চার, ১ ছয়ে করেন ২৫ রান। পাকিস্তানের পক্ষে বাঁহাতি স্পিনে মোহাম্মদ নওয়াজ ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
সহজ টার্গেটে নেমে ৫ ওভারেই ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। সাইম ১৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রান করে দাসুন শানাকার বলে স্টাম্পিং হয়ে যান। এরপর বাবর আজম নেমে আবার ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি ২২ বলে ১ ছক্কায় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। অধিনায়ক সালমান আলী আগাও শুন্য রানে আউট হন।
একপ্রান্তে সবাই একেএকে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও অন্যদিকে সাহিবজাদা ফারহান তাণ্ডব চালিয়ে গেছেন। তিনি ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩৩ বলে। শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সাহিবজাদা। তিনি ক্যারিয়ারের সেরা ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন মাত্র ৪৫ বলে ৬ চার, ছক্কায়।
মাত্র ১৫.৩ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তুলে সহজ জয় ছিনিয়ে নেয় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার পেসার দুশমন্ত চামিরা ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। আরেকটি উইকেট পেয়েছেন দাসুন শানাকা ২ ওভারে ১৪ রান খরচায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ইনিংস- ১২৮/৭; ২০ ওভার (লিয়ানাগে ৪১*, পেরেরা ২৫, মিশারা ২২; নওয়াজ ৩/১৬)।
পাকিস্তান ইনিংস- ১৩১/৩; ১৫.৩ ওভার (সাহিবজাদা ৮০*, সাইম ২০, বাবর ১৬; চামিরা ২/২৯)।
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ নওয়াজ (পাকিস্তান)
