ক্রিকেটের দুঃখ দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে হারতে হারতে চোকার্স তকমাও লেগে গেছে গায়ে। প্রায় প্রতিটি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার থেমে যায় সেমিফাইনালে। এবার সেই দুঃখ আরেকটু বাড়িয়ে নিলো ফাইনালে হেরে। এবার অনুর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হারালো প্রোটিয়ারা।

সদ্য সমাপ্ত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের ৯ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের যথার্থ মর্যাদা দিতে পারেননি দলের ব্যাটাররা। ভারতের বোলিং আক্রমণের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে প্রোটিয়া মেয়েরা।
নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে প্রথম থেকেই চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত সেই চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ছয়ে ব্যাট করতে নামা মাইকে ভ্যান ভুরস্ট। ১৮ বলে ২৩ রান করেন তিনি। মারেন ৩টি চার। এ ছাড়া দু’অঙ্কের রান পেয়েছেন ওপেনার জিমা বোথা (১৪ বলে ১৬), পাঁচ নম্বরে নামা কারাবো মিসো (২৬ বলে ১০) এবং সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা ফা কলিং (২০ বলে ১৫) তাদের মোট সংগ্রহ হয় মাত্র ৮৩ রান।
১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ভারতের বোলার গোঙ্গাদি তৃষা । ৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছে পারুনিকা সিসোদিয়ার। ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেয় আয়ুষী শুক্লর। এ ছাড়া ২৩ রানে ২ উইকেট বৈষ্ণবী শর্মার। ৭ রান দিয়ে ১ উইকেট শবনম শাকিলের।
৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয় পেয়ে যায় ভারত। ওপেনার তৃষা ৮ চারে ৩৩ বলে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তিন নম্বরে নামা সনিকা চালকে অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ২৬ রান করে। ৪টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে এক মাত্র উইকেটটি নেন অধিনায়ক কায়লা।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হয়েছে নারীদের অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দু’বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ২০২৩ সালের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল ভারতের মেয়েরা। ২০২৭ সালের প্রতিযোগিতার আয়োজক বাংলাদেশ এবং নেপাল। সেবার ২০ দেশ খেলবে বিশ্বকাপ। কে জানে হয়তো সেখানেও শিরোপা অধরাই থেকে যাবে প্রোটিয়াদের।