দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। হতাশায় একেবারে মুষড়ে পড়েছিলেন। খেলতে পারবেন না বলে ফুটবল দেখাও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে, মনোবিদের শরণাপন্ন হতে হয়। লিওনেল মেসির সতীর্থ হিসেবে ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জেতা আলেজান্দ্রো গোমেজের জীবনে এমনটাই ঘটেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে নিষিদ্ধ হওয়ার পর গত শনিবার পেশাদার ফুটবলে ফিরেছেন ‘পাপু’ গোমেজ নামে পরিচিত এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ইতালির দ্বিতীয় বিভাগের প্রতিযোগিতা সিরি ‘বি’ আসরে ম্যাচ খেলার পর গোমেজ জানিয়েছেন তার কঠিন সময়ের কথা।
২০২৩ সালে আলেজান্দ্রো গোমেজের রক্ত পরীক্ষার পর নিষিদ্ধ ড্রাগের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সে বছর অক্টোবরে তাকে নিষিদ্ধ পদার্থ সেবনের দায়ে নিষিদ্ধ করা হয়। যদিও গোমেজ দাবি করেন, নিজের সন্তানের কাশির সিরাপ ভুলবশত খাওয়ার কারণেই এমন হয়েছিল।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার পর একজন পেশাদার ফুটবলারের জন্য সময়টা কত কঠিন হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন গোমেজ। স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়া তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। বিশ্বকাপ জিতে মানসিকভাবে চাঙ্গা থেকে ক্যারিয়ারটাকে আরও উজ্জ্বল করা ও জীবনকে উপভোগ করার কথা গোমেজের। কিন্তু হয়েছে উল্টো। নিষেধাজ্ঞায় পড়ে জীবনে নেমে আসে আঁধার।
গত ১৮ অক্টোবর ২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কেটে গেছে গোমেজের। ইতালির সিরি ‘বি’ আসরে এই আর্জেন্টাইন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পাদোভার হয়ে বদলি হিসেবে ২২ নভেম্বর ৫৮ মিনিটে মাঠে নামেন তিনি। দর্শকরাও করতালি দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। ম্যাচ শেষে গোমেজ বলেন,‘ক্যারিয়ারের সেরা সময়, বিশ্বকাপ জয়ের পরেই এমন হল। মনে হচ্ছিল, আমি তো অবসর নিতে চাই না, তাহলে কয়েকজন স্যুট–টাই পরা লোক কেন ঠিক করবে আমি কবে অবসর নেব?’

আর সেজন্যই ভেঙে পড়েছিলেন। সেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ৩৭ বছর বয়সী গোমেজ বলেছেন,‘কেউ কোকেন নেয় বা গাঁজা খায়— তখন ৬ মাস শাস্তি পায়। আমি ছেলের কাশির সিরাপ খেয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলাম! প্রথমে ফুটবল দেখা বন্ধই করে দিয়েছিলাম। নিজেকে আলাদা করে একজন মনোবিজ্ঞানীর সহায়তায় পরিস্থিতি সামলাতে হয়েছে।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















