বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তামিমের বাদ পড়া, দল ভারতে যাওয়ার পর তামিমের ফেসবুক লাইভ, ওইদিনই একটি বেসরকারী স্যাটেলাইট চ্যানেলকে সাকিবের করা বিস্ফোরক মন্তব্যের পর তামিম-সাকিব ইস্যুতে এবার কথা বললেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সবারই দায় দেখছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন তামিমের যেমন অধিনায়কত্ব ছাড়া ঠিক হয়নি, তেমনি বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগে সাকিবেরই তামিমকে কল দেয়া উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেন ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক মাশরাফি।
১৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডের ভিডিওতে মাশরাফি বলেন, ‘বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ডকাপে যে কয়টা ম্যাচ খেলবে সেগুলো নিয়ে কথা বলার খুব ইচ্ছা ছিলো। বাংলাদেশ দল কেমন হলো সেটা নিয়েও কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইমিডিয়েটলি কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে সেগুলো নিয়ে তার আগে কথা বলা উচিত। তাই ছোট কিছু বার্তা দিতে চাই। এর পর হয়তো দল কেমন হলো বা বাংলাদেশ দল যখন খেলবে সেই ম্যাচগুলো নিয়ে আলোচনা করবো।’
তামিমের প্রসঙ্গ টেনে মাশরাফি বলেন, ‘শুরুতে আমি কথা বলতে চাই তামিমকে নিয়ে। কারণ আমরা দুইটা ভিডিওই দেখেছি। একটা তামিম ইকবাল দিয়েছে তার কিছুক্ষণ পর টি স্পোর্টস এর মাধ্যমে সাকিব কিছু বক্তব্য দিয়েছে যে বাংলাদেশ দলের এখন অধিনায়ক। তো আমার কাছে মনে হয়, তামিমকে নিয়ে কিছু কথা, আমার পার্সোনালি আমার কাছে মনে হয়েছে সেগুলো বলা উচিত। প্রথমে তামিমের ক্যাপ্টেন্সি। ওয়ার্ল্ডকাপে না যাওয়ার বিষয়টা পরে আসছি। আমার কাছে কোন অ্যাঙ্গেল থেকেই মনে হয়নি তামিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া উচিত হয়েছে। এখন তামিমের একটা ইস্যু ছিলো সেটা হচ্ছে ইনজুরি। ইনজুরিটা থাকলে সেটা আসলে কিছু করার নাই এবং ক্লিয়ারলি তার ইনজুরি ছিলো। একটা জিনিস হচ্ছে কি, বোর্ড কমফোর্টেবল জোনে ছিলো তামিমকে নিয়ে। মিডিয়া এবং সব জায়গায় বোর্ডের অবস্থান ছিলো তাকে আমরা ক্যাপ্টেন হিসেবেই দেখছি। সে জায়গায় তামিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া উচিত ছিলো কিনা ইনজুরির সাথে মিলিয়ে ! সেটা তামিমই ভালো বলতে পারবে।’
এরপর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তামিমের থাকতে চাওয়া-না চাওয়া এবং স্কোয়াড থেকে তামিমের বাদ পড়া ইস্যুতে মাশরাফি বলেন, ‘নেক্সট স্টেপটা তামিমের যেটা ছিলো সেটা হচ্ছে যে, বোর্ডের কেউ না কেউ তার সাথে কথা বলেছে এবং কথা বলার পর সে কিছুটা উত্তেজিত হয়ে যায়। উত্তেজিত হওয়ার পর সে দলে থাকতে চায়নি। আমি মনে করি এটাও একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো আমার কাছে মনে হয়নি যে, তামিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়া উচিত হয়েছে। কি জন্য যে, বোর্ডও কমফোর্টেবল জোনে ছিলো । এবং বোর্ডও ক্লিয়ার কম্যুনিকেশন সবার সাথে করেছে। মিডিয়ার সাথেও যখন কথা বলেছে তখন একটা জিনিস স্পষ্টভাবে বলেছে তামিমের ক্যাপ্টেন থাকা নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের কোন সমস্যা নাই। এখন পয়েন্ট ছিলো যে, তামিমের ইনজুরি। তামিম এইজন্য ইনজুরির কারণে কনফিউজ হয়ে ক্যাপ্টেন্সিটা ছেড়েছে। এখন সেই জিনিসটা তামিমকে আরেকটু ওয়েট করে, অ্যানালাইসিস করা উচিত ছিলো কি না, আসলে সে ওয়ার্ল্ডকাপে গিয়ে কতোটা ফিট থাকবে এবং আসলে কি অবস্থায় যাবে, সেটা একটা বিষয় ছিলো। কারণ ক্যাপ্টেন্সি যদি চেঞ্জ করতেই হতো সেটার আইডিয়াস সিচুয়েশন ছিলো ছয় মাস বা এক বছর আগে করা।’
আর বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে তামিমের বাদ পড়ার বিষয়টাতে মাশরাফির বক্তব্য, ‘তামিমের সাথে বিসিবি’র যারই কথা হোক না কেন, সেই কথোপকথোনের পর তামিমের উত্তেজিত হয়ে, আমি দলে থাকতে চাই না, এই কথাটা যখন তামিম বলেছে, তখন সেই জিনিসটাও আমার কাছে মনে হয়েছে যে, সেই জিনিসটা আরেকটু স্লো যাওয়া উচিত ছিলো। কি জন্য? রাগ ক্ষোভের উপরে মানুষ যে সিদ্ধান্তই নেয় না কেন সেটা কোন সঠিক সিদ্ধান্ত হয় না। এটা কিন্তু আমরা সব সময় দেখে এসেছি। এবং ব্যক্তিগত জীবনেও কিন্তু এই জিনিসগুলো ভালো একটা কাজে লাগে না। তাই আমি মনে করি যে, তামিমের এই সিদ্ধান্ত আরেকটু ভেবে চিন্তে নিলে হয়তোবা জিনিসটা ভালো হতো।’
বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার আগে তামিমকে বিসিবি’র কারও ফোন, কথোপকথনের এক পর্যায়ে তামিমের উত্তেজিত হয়ে গিয়ে দলে না থাকতে চাওয়া এবং তার ওপর ভিত্তি করে তামিমকে দল থেকে বাদ দেয়ার প্রসঙ্গে মাশরাফি: ‘এটাতো বোর্ডের কারও বিষয় না। তামিমকে অধিনায়ক, কোচ অথবা নির্বাচক যিনি কিনা বিশ্বকাপের সময় দলের সাথে থাকবেন তিনি বলতে পারেন ওই সময়ের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। মূল বিষয়টা হলো এটা টিম ম্যানেজমেন্ট বলবে। এটা বাংলাদেশে থেকেও বলা যেতে পারতো আবার দল ঘোষণার পর ইন্ডিয়ায় গিয়েও বলতে পারতো। ম্যাচের একদিন আগে, দুইদিন আগে। যেটা আইডিয়াল সিচুয়েশন হয় সাধারণত। উইকেট মূল্যায়নের পর কোচ-ক্যাপ্টেন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। প্রতিপক্ষ মূল্যায়ন, তার বোলার মূল্যায়ন করেই এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয়। সেটা এতো আগে করার কারণ কি সেটা আমি জানি না। এই প্রশ্নটা আমার কাছে এসেছে।’
টি-স্পোর্টসকে দেয়া সাকিবের প্রেক্ষিতে মাশরাফি: ‘সাকিব একটা জিনিস ক্লিয়ারলি বলেছে সেটা হচ্ছে যে সাকিব ক্যাপ্টেন্সি করতে চায় না। এবং আমি পুরোপরি সাকিবের সাথে একমত। কারণ সাকিবের আসলে ক্যাপ্টেন্স করে গেইন করার কিছু নাই। এটা সাকিব ক্লিয়ারলি বলেছে। সাকিব স্রেফ খেলাটাকে এনজয় করতে চায়। টিমের সাথে থাকতে চায়। ভালো খেলতে চায়। এবং দেশের জন্য কিছু করতে চায়। এটা একটা ক্লিয়ার মেসেজ কিন্তু। এর পর তামিম যখন ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছে তখন সাকিবকে কিন্তু বলতে গেলে বাধ্য করা হয়েছে। এবং সাকিব কিন্তু দেশের কথা চিন্তা করেই, বাংলাদেশের ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেই অধিনায়কত্ব নিয়েছে। এবং আমি মনে করি সাকিবকে সাধুবাদ জানানো উচিত।’
তামিমের পাঁচ ম্যাচ খেলতে না চাওয়া এবং সাকিবের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে মাশরাফি: ‘বেছে বেছে খেলা, একটা কথা মিডিয়ায় এসেছে, তামিম বেছে বেছে ম্যাচ খেলবে। নান্নু ভাই বলেছে সে জানে না, তামিম বলেছে সে বলে নাই। সাকিব বলেছে সে শুনেছে। এর মানে হলো, পরিষ্কার কোন তথ্য সাকিবের কাছে ছিলো না। এই যে পাঁচ ম্যাচের বিষয়ে এতোকিছু ঘটে গেলো তার দায় সাকিবেরও না, তামিমেরও না এমনকি নান্নু ভাইয়েরও না। এখন এই যে পাঁচ ম্যাচের বিষয়টা মিডিয়ায় যারা ছড়িয়েছে তাদেরকে খুঁজে করাটা জরুরি। সাকিব যেহেতু দলের অধিনায়ক, সাকিব একটা কথা বলেছে, অফ দ্যা ফিল্ড সব কিছু ঠিক করে অন্য দ্যা ফিল্ডি তাকে অ্যাকশন নিতে হয় বা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এইখানে আমি মনে করি, সাকিব যেহেতু বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হয়েছে, তামিমের এই ইস্যুগুলো নিয়ে যদি কথা কেউ বলতেই হয়, আলোচনা যেহেতু শুরু হয়ে গিয়েছে তামিমের পাঁচ ম্যাচ খেলা নিয়ে সেই ক্ষেত্রে সাকিবই পারতো ব্যক্তিগতভাবে তামিমকে মেসেজ দেয়া বা কল করতে। সেটা যদি নেতিবাচকও কিছু হতো তাহলেও সেটা তাদের দু;জনের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতো। এতা আলোচনায় আসতো না।’
দলে সাকিবের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে মাশরাফি: ‘সাকিবের গ্রহণযোগ্যতা এতোটাই আছে বাংলাদেশ দলে যে, সাকিব যদি একটা জিনিস ডিজায়ার করে (ইচ্ছা পোষণ করে) আমার কাছে মনে হয় ন বাংলাদেশের কোন ক্রিকেটার, এক্স ক্রিকেটার বলেন, কারেন্ট ক্রিকেটার বলেন, কোন ক্রিকেটারই তার কথাকে ফেলবে। আমার কাছে মানে হয় ক্যাপ্টেন হিসেবে, সাকিব যেহেতু ক্যাপ্টেন্সি নিয়েছেই সে জায়গা থেকে সাকিবই পারতো তামিমকে একটা মেসেজ দিতে বা এক মিনিট ফোনে কথা বলতে যে আমার এই প্ল্যান আছে আমি এটা তোর সাথে পরে আলোচনা করবো। আমার কাছে মনে হয় পুরো জিনিসটা এখানেই চাপা পড়ে যেতো।’
দলের প্রয়োজনে যে কাউকে যে কোন জায়গায় ব্যাটিং প্রসঙ্গে মাশরাফি: ‘সাকিবের এই কথা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত। তামিমের ব্যাপারে একটা কথা বলবো, শুধু তামিম না যে কারও ক্ষেত্রে একটা কথা বলবো, ওপেনাররা স্পেশালিস্ট জায়গা নিয়েই ব্যাটিং করে। সারা বিশ্বেই এটা আমরা দেখে আসছি। কারণ দুই পাশে দুইটা নতুন বল থাকে। সেগুলো হ্যান্ডেল করা, পিচের কন্ডিশন কেমন সবকিছু বোঝা, ওপেনাররা এইজন্যই স্পেশালিস্ট।’
রোহিত শর্মার ব্যাটিং প্রসঙ্গে সাকিবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মাশরাফি: ‘রোহিত শর্মা কিন্তু তার ক্যারিয়ার শুরু করেছে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে। চাইল্ডহুড থেকে যা কিছু সে করেছে, মিডল অর্ডার হিসেবেই সে অভ্যস্ত ছিলো। মহেন্দ্র সিং ধোনী ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর এসে তাকে ওপেনার হিসেবে সুযোগ করে দেয় এবং এখনও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আমরা দেখেছি রোহিত শর্মা কিন্তু দলের প্রয়োজনে দুইয়ে, তিনি বা চারে অনেক সময় ব্যাটিং করে। ফলে সে কিন্তু এই বিষয়টাতে খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য যেটা তামিম না। কখনোই না। সাদা বলে তিন নাম্বারে, এক বা দুইয়ের নীচে সে কখনোই ব্যাটিং করেনি।’
‘আরেকটা বিষয় হচ্ছে যে টেকটিক্যালি আরেকটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়ে আলোচনা হতে পারে যে, সেটা ফারুকি এবং মুজিবের বিপক্ষে তার সাকসেস রেট হয়তো কম বা আসলেই। এক্ষেত্রে তার সাকসেস নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে মেকশিফট ওপেনার যারা আছে হয়তো মিরাজ একটা একশ করেছে বাট দীর্ঘমেয়াদী চিন্তায় মেকশিফট ওপেনার দিয়ে আসলে চালানো যেতো কিনা বা যাবে কিনা আমি নিশ্চিত না। এই যে কথাগুলো বললাম সেটা কিন্তু আমার নিজস্ব কথা না। এটা তাদের দু’জনের বক্তব্য থেকে নেয়া কিছু কথা। আমি চেষ্টা করেছি আমার মতো করে বোঝার বা বলার। এখন বিষয় হচ্ছে যে, আমাদের জন্য আইডিয়াল সিচুয়েশন কি বা আমরা কি চাই? আমরা অবশ্যই, আমিতো মনে করি আমরা সবাই চাই বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ যারা যারা ক্রিকেট খেলা দেখে, ওয়ার্ল্ড কাপ আসলে সবাই দেখবে, সবাই চায় যে সাকিব-তামিম দু’জনেই ওয়ার্ল্ড কাপে থাকুক, দু’জনেই খেলুক এবং দু’জনেই আমাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, খেলোয়াড় যারা আছে, দু’জনেই তাদের মধ্যে অন্যতম। এবং তারা লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে সার্ভিস দিয়ে আসছে।
‘আমার কাছে মনে হয় এই দু’জনকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ, দু’জনই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো আমার কাছে। আনফর্চুনেটলি তামিম টিমে নাই। তামিমকে হয়তো এখন আর পাওয়া সম্ভব না, তবে এখনও দলের সাথে আছে, সাকিবের অনেক ভূমিকা আছে, আমি এখনও আশা করছি সাকিবের মতো খেলোয়াড়ের হাতে একটা বড় ট্রফি আসবে, এটা আমরা এখনও স্বপ্ন দেখছি। তো, আমার বিশ্বাস সাকিব এই সব কিছুকে পিছে ফেলে সামনে এগিয়ে যাবে এবং এটা আমি না বললেও তাই করত। কারণ সাকিব, ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সাকিবকে, আমার কাছে এতোটুকু মনে হয় যে, তার ক্যারেক্টার অনেক স্ট্রং। সে যে কোন জিনিসকে পিছে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে পারে এবং আমি শিওর যে, সাকিব দলকে নিয়ে মানে পজিটিভভাবেই সামনে এগিয়ে যাবে এবং তারা তাদের বেস্ট ক্রিকেট খেলে আসবে।’
‘পরিশেষে আমি একটুকুই বলবো, সাকিব এবং তামিম এই দু’জনকে নিয়ে আসলে যে কথাগুলো হচ্ছে সেটা তৃতীয় পক্ষের জন্যই। তো তৃতীয় পক্ষ যে আসলেই ক্ষতিকারক সেটা আবারও প্রমাণিত। এতোটুকুই আশা করছি যে ভবিষ্যতে, যদি কোন খেলোয়াড়দের ভিতরে এইরকম আর কোন আলোচনা হয় বা মনোমালিন্যতা থাকে, আমি আশা করবো খেলোয়াড়দের জন্য একটা শিক্ষা হলো যে, তারা যেন নিজেরাই আলোচনা করে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করে এবং এর সাথে এটাও আশা করবো বোর্ড থেকেও যেন এইরকম উদ্যোগ নেয়া হয় যে ক্রিকেট বোর্ড থেকে বা বাইরে থেকে কেউ কথা না বলে সেই খেলোয়াড়রাই যেন তাদের সমস্যাগুলো নিজেরা সমাধান করে।’
বক্তব্যের একেবারে শেষ দিকে মাশরাফি আরও বলেন, ‘সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। আবারও কথা হবে, দেখা হবে ইনশাআল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















