ফুটবলার থেকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। প্রিয় দেশ স্পেনেই এদিফিসিও রোসটাওয়ার সোচিমি নামে একটি রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ ট্রাস্টের সূচনা করেছেন মেসি। মূলত এদিফিসিও রোসটাওয়ার সোচিমি বিনিয়োগ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১৩ সালে ।
কোম্পানীটিতে প্রতিটি শেয়ারের দাম ৫৭.৪ ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭ হাজার টাকার বেশি। সব মিলিয়ে বাজারে এর মূলধন ২২ কোটি ৩০ লাখ ইউরো (২ হাজার ৭৮৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা) ।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্টক এক্সচেঞ্জ পোর্টফোলিওর তথ্য অনুযায়ী, মেসি নিজেই এই বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান। এর একমাত্র শেয়ারহোল্ডার মেসির পারিবারিক বিনিয়োগের বাহন, যার নাম লিমেকু এস্পানা ২০১০।

এদিফিসিও রোসটাওয়ার সোচিমির স্পেন ও অ্যান্ডোরায় ৭টি হোটেল আছে। স্পেনে আছে ৩টি অফিস স্পেস ও ৫টি অ্যাপার্টমেন্ট। এ ছাড়া লন্ডন ও প্যারিসে আছে আবাসিক সম্পত্তি।
পোর্টফোলিও স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী সান্তিয়াগো নাভারো জানিয়েছেন, মেসির কোম্পানি এবার নতুন বিনিয়োগকারী যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে, যারা স্পেনের কাতালুনিয়া অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। কাতালুনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনাতেই মেসি দুই দশকের বেশি সময় বসবাস করেছেন।
নাভারো বলেছেন, ‘মেসির এক্সচেঞ্জটি ২০২৩ সালে চালু করা হয়েছে। স্পেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংকো দ্য এস্পানা) এটি তত্ত্বাবধান করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শুধু তখনই কোম্পানিটিকে ব্যবসা করার অনুমতি দেয়, যখন শেয়ার বিক্রি করতে বা মূলধন বাড়াতে চায়।’
মেসি এদিফিসিও রোসটাওয়ার সোচিমির চেয়ারম্যান হলেও খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদিকে খুব বেশি সময় দিতে পারেন না। মূলত তার স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো এই বিনিয়োগ ট্রাস্টটি চালান। রোকুজ্জো বর্তমানে কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান।
বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন আলফোনসো নেবোত ও রামোন আদেল। নোবেত মেসির পারিবারিক অফিস চালান আর আদেল স্পেনের প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক শক্তি ইউটিলিটি কোম্পানি নাতুরজির বোর্ড সদস্য।
খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও শীঘ্রই হয়তো পুরোদমে মেসিকে দেখা যাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে।