গল টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে অজিদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৩০ রান। ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন ওসমান খাজা ও স্টিভ স্মিথ। আগামীকাল আবারো মাঠে নামবে অপরাজিত এই দুই ব্যাটার।
মারমুখী ব্যাটিং দিয়ে দিনের শুরুটা করেছিলো স্টিভ স্মিথের দল। ট্রাভিস হেডের আগ্রাসী যাত্রার মাধ্যমে ম্যাচ মারমুখী গতি পায়। যদিও খুব বেশিদূর যেতে পারেনি হেড। তবু মাত্র ৩৫ বলে তুলে নেয় ৫৭ রান।
![](https://khela.live/wp-content/uploads/2025/01/prothomalo-english_2025-01-29_2j0f8uu2_Steve-Smith.webp)
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ বৃষ্টির কারণে প্রায় ৯ ওভারের খেলা বাকি রেখেই দিন শেষের ঘোষণা দেওয়া হয়। আউট হওয়া দুই ব্যাটারের মধ্যে হেড ৫৭ এবং মার্নাস লাবুশেন করেছেন ২০ রান। বিপরীতে সারাদিন বোলিং করে ২টি উইকেট নিতে পেরেছে লঙ্কানরা। খরুচে বোলিংয়ের পর ১টি করে উইকেট শিকার করেন প্রবাথ জয়সুরিয়া ও জেফ্রি ভ্যান্ডারসি।
প্রথমেই টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ঝড়ের বেগে রান তুলেছেন হেড। ফিফটি হাঁকিয়েছেন মাত্র ৩৫ বলে। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ১০টি চার ও এক ছক্কায় তিনি ৫৭ রানে থামেন। খাজা-হেডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ৯২ রানে। ওই রান অবশ্য অস্ট্রেলিয়া ১৪.৩ ওভারে তুলেছিল। এরপর হেডের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী মেজাজে খেলতে থাকেন লাবুশেন। ফলে ৬–এর বেশি রানে গড় থাকা দলটি পরের ১৫ ওভারে তোলে ৩ রানের কম গড়ে। লাবুশেন ৫০ বলে ২০ রান করে আউট হলে আবারও রানের গতি পুনরায় সচল করেন খাজা ও স্টিভ স্মিথ।
![](https://khela.live/wp-content/uploads/2025/01/Khawaja.jpg)
এরই মধ্যে অবশ্য ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। নিজের ব্যক্তিগত ১০ হাজার রান পূর্ণ করেছেন আজ। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষে সিডনী টেস্ট ও সিরিজ শেষ করেছেন ৯৯৯৯ রানে। মাত্র ১ রানের জন্য নাম লেখাতে পারেননি ১০ হাজারী ক্লাবে। আজ সেই অভাব ঘুচিয়ে নাম লেখালেন অমরত্বের খাতায়। আর অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ও বিশ্বের ১৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন এই সিরিজে অজি অধিনায়ক।
টেস্টে মাত্র ৬ষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। তার আগে তিন অজি অধিনায়ক ছাড়া এই ক্লাবে আছেন কেবল ব্রায়ান লারা এবং অ্যালিস্টার কুক। ম্যাচের হিসাবে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন স্মিথ। ১১১ ম্যাচে এই এলিট ক্লাবে যুক্ত হয়েছিলেন ব্রায়ান লারা। কুমার সাঙ্গাকারা এবং স্মিথ দুজনকে খেলতে হয়েছে ১১৫ ম্যাচ। ইউনিস খান খেলেছিলেন ১১৬ ম্যাচ। আর রিকি পন্টিংয়ের দরকার ছিল ১১৮ ম্যাচ।
স্মিথের আগেই ক্রিজে আসা খাজাও দিন শেষ করেছেন অপরাজিত থেকে। সর্বশেষ সিরিজেও রানখরায় ভোগা এই তারকা ওপেনার ২১০ বলে ১০টি চার ও এক ছক্কায় ১৪৭ রানে ব্যাট করছেন। তার সমান চার-ছক্কার বাউন্ডারি খেলেছেন স্মিথও।