ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার (ডব্লিউএএ) প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল। আজ এক ভোটাভুটিতে ২৯-৯ ব্যবধানে এই গৌরবময় পদে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর সংবাদ সম্মেলনে ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন চপল। এ সময় তিনি জানান, আর্চারিতে বাংলাদেশকে কল্পনাতীত পর্যায়ে নিতে যেতে চান। পাশাপাশি এশিয়ার মানটাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে চান।
ওয়ার্ল্ড আর্চারি এশিয়ার (ডব্লিউএএ) প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন চপল। তিনি দুইবার সেই পদে ছিলেন। এবার সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়ান। তার ধারণা ছিল ২০/২১ ভোট পেতে পারেন। কিন্তু বিপুল ব্যবধানে জয়ের পর চপল বলেছেন,‘নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আমার আত্মবিশ্বাস ছিল। তবে অতি আত্মবিশ্বাস ছিল না। কারণ গতকাল রাতে আমরা ৪টা সার্ভে রিপোর্ট পেয়েছি যে আমি কত ভোট পেতে পারি। ৪টা গ্রুপই আমাকে রেজাল্ট দিল ২৯ ভোট পাবো। পঞ্চমবারেও ফাইনালি রিপোর্টে পেলাম ২৯ ভোটই পাচ্ছি। এটা একটা বিরল দৃষ্টান্ত। এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশনের ইতিহাসে এত বড় ঘটনা আর কখনও ঘটেনি। ভোটের এত ব্যবধান কখনও হয়নি। সবাই ধরেছিল আমি হয়তো ২০-২১টি ভোট পাব।’
এমন একটি গৌরব বাংলাদেশের জন্যও বড়। এ বিষয়ে চপল বলেন,‘এটা বাংলাদেশের বড় অর্জন। কারণ আমরা রাজনৈতিকভাবে কখনও আপোষ করিনি। আমাদের ফেডারেশন এখনও নন পলিটিক্যাল। আমরা কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না। কিন্তু আমরা কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করি। আজকের বিজয়টা আমাদের কূটনৈতিক বিজয়।’
এখন চপলের স্বপ্ন আরও বড়। তিনি বলেছেন,‘অনেক বড় বড় দেশকে হারিয়েছি। আরেকটি দেশ দরকার যারা বিশ্বের এক নম্বর। এখন তাদের নাম উচ্চারণ করব না। আপনারা বুঝে নেন। ওটা হারাতে পারলে একটা বড় অর্জন হবে। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সহসাই এক নম্বরে পৌঁছে যাবে।’
নিজ দেশ বাংলাদেশ ছাড়াও এখন পুরো এশিয়ার আর্চারির ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব চপলের কাঁধে। তাই নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে বলেছেন,‘আমি বাংলাদেশকে এমন একটা স্তরে নিয়ে যাব যেটা কেউ কল্পনা করেনি এবং এশিয়ার মানটাও বিশ্বমানে নিয়ে যেতে চাই। এশিয়াতে একটা দেশ প্রাধান্য বিস্তার করবে সেটা না। আমরা চাই প্রতিটি দেশ যেন উন্নতির শিখরে উঠতে পারে।’
মানোন্নয়নের জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চান চপল। তিনি বলেন,‘টুর্নামেন্ট করা সহজ, সফল করা কঠিন। আমি চাই বাংলাদেশে প্রতি বছর একটা করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে। এটা করতে পারলে বাংলাদেশ এক সময় কোরিয়ার পর্যায়ে চলে যাবে। আমরা যে সংগঠক হিসেবে সফল সেটা প্রমাণ হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো এশিয়াসহ আফ্রিকাতেও কাজ করেছি আমরা। আমি ইনশাআল্লাহ যুক্তরাষ্ট্রেও কাজ করব।’
