দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন পেয়েছে একজন পূর্ণাঙ্গ বিদেশি কোচ—মিশরীয় সাঈদ ম্যাকডি। সদ্য অ্যাডহক কমিটির অধীনে দায়িত্ব পাওয়া এই কোচ এসেছেন এসএ গেমস ২০২৫ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত মেয়াদি চুক্তিতে। ঢাকায় এসে মাত্র কয়েকদিনেই মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে নিজের কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি।
বাংলাদেশে আসা প্রসঙ্গে সাঈদ বলেন, “বাংলাদেশ সম্পর্কে আগেই জানতাম। সাঁতারের সংস্কৃতি তৈরি করতে চাই। এই সময়টায় যতটা সম্ভব উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।” শুধু সাঁতারুদের নয়, স্থানীয় কোচদের দক্ষতাও বাড়াতে চান তিনি। “আমি চাই, আমার অনুপস্থিতিতেও স্থানীয় কোচরা উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে পারুক,”—বললেন তিনি।
দেশে এখনও ইলেকট্রনিক টাইমিং সুবিধা না থাকায় পিছিয়ে আছে সাঁতার। কোচ সাঈদ বিষয়টি বুঝেছেন শুরুতেই। তার কথায়, “আমি চেষ্টা করব নিজের কিছু যন্ত্রপাতি দিয়ে টাইমিংয়ের ঘাটতি পূরণ করতে।”
মিশর বিশ্ব সাঁতারে বড় নাম না হলেও, সাঈদ নিজে আফ্রিকা ও এশিয়ার বহু দেশে সফলভাবে কোচিং করিয়েছেন। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রায় সব ইভেন্টেই—৫০ মিটার থেকে ১০০০ মিটার পর্যন্ত। তিনি খেলোয়াড়দের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে বিশ্বাসী।
বাংলাদেশ এখন সাঁতারে দক্ষিণ এশিয়াতেও পিছিয়ে। ২০১৯ সালে এসএ গেমসে একটি স্বর্ণপদকও আসেনি। সেই অতৃপ্তি থেকেই সাঈদের প্রধান লক্ষ্য—স্বর্ণপদক জয়। তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে তার সফলতা নির্ভর করবে সাঁতারুদের আন্তরিকতা ও ক্রীড়া প্রশাসনের সহযোগিতার ওপর।
