২০২৬ সালে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিতব্য কমনওয়েলথ গেমসে মাত্র চারটি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, বক্সিং ও জিমন্যাস্টিক্স—এই চার ইভেন্টে উন্মুক্ত কোটায় অংশ নেবেন ১৫ জন ক্রীড়াবিদ। ভারত্তোলন থেকে কোয়ালিফাই করলে যোগ হতে পারেন আরও ৫ জন।
দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে কমনওয়েলথ গেমসই একমাত্র আসর যেখানে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব আছে। বিশেষ করে শ্যুটিংয়ে বাংলাদেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। ২০১৮ গোল্ডকোস্ট গেমসে শাকিল রৌপ্য জিতেছিলেন। তবে ২০২২ সালের বার্মিংহাম গেমসে শ্যুটিং এবং আরচ্যারি না থাকায় পদকশূন্য ছিল বাংলাদেশ। গ্লাসগোতেও শ্যুটিং না থাকায় পদকের সম্ভাবনা কম বলেই ধরা হচ্ছে।
সভায় এছাড়াও এশিয়ান ইয়ুথ, ইসলামিক সলিডারিটি এবং এসএ গেমস নিয়ে প্রস্তুতির আলোচনা হয়। ফেডারেশনগুলোর আবেদনের ভিত্তিতে বাজেট পেলে খেলোয়াড় সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট (১২.৪০ কোটি টাকা) ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট (৯৬.১৯ কোটি টাকা) অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভায় বিওএ সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন ফেডারেশনের সভাপতিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেন। ফুটবল বাদে সব ফেডারেশনের সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। অর্থ সংকটে থাকা খেলাগুলোকে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও উঠে আসে। ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ভারত্তোলন ফেডারেশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে সম্মিলিত কাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
