টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসি ব্যাটিং চালিয়েছে ভারত। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে ১৯৭ রানের পাহাড়সম টার্গেট দাঁড় করিয়েছে রোহিত শর্মার দল। টপ অর্ডারের ছয় ব্যাটারের মধ্যে সূর্যকুমার যাদব কেবল ছয় রানে আউট হয়েছেন। তাও প্রথম বলেই ছক্কা হাকিয়েছিলেন। রান পেয়েছেন বাকি পাঁচ ব্যাটারই। এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে রানে ফিরলেন ভিরাট কোহলি। ২৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংসটি এই বিশ্বকাপে ভিরাটের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
ভারতের পক্ষে ২৭ বলে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন হার্ডিক পান্ডিয়া। অন্যদের মধ্যে রোহিত শর্মা ২৩, ভিরাট কোহলি ৩৭, রিশভ পন্থ ৩৬, শিভাম দুবে ৩৪ রান করেন।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই বাংলাদেশী বোলারদের ওপর চড়াও হন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও ভিরাট কোহলি। এদিন দুই প্রান্তেই স্পিন আক্রমণ সাজায় বাংলাদেশ। শেখ মাহেদীর পর অন্যপ্রান্তে আসেন সাকিব আল হাসান। চতুর্থ ওভারে ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ১০ বলে ২৩ রান করার পর ১১তম বলে জাকের আলী অনিকের হাতে ক্যাচ দেন রোহিত।
রোহিত শর্মার আউটের পর খেলতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের ওপর চড়াও হন রিশভ। ৮ম ওভারে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের প্রথম ও তৃতীয় বলে যথাক্রমে আউট হন ভিরাট ও সূর্যকুমার যাদব।
১২তম ওভারে এসে দলীয় ১০৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় ভারতীয় দল। স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন ২৪ বলে ৩৬ রান করা রিশভ পন্থ।
৫ম উইকেটে শিভাম দুবে ও হার্ডিক পান্ডিয়া ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন। এই সময় কোন চেষ্টাতেই তাদের থামানো যাচ্ছিলো না। দলীয় ১৬১ রানে ৫ম উইকেট হারায় ভারত। স্পিনার রিশাদের বলেই বোল্ড হন ২৪ বলে ৩৪ রান করা শিভাম।
শেষ পাঁচ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলেছে ভারত। শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৯৬ রান। বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব ৩২ ও রিশাদ হোসেন ৪৩ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। তিন ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সাকিব আল হাসান পেয়েছেন এক উইকেট। পেসার মোস্তাফিজুর রহমান চার ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন।
