অনেক জল ঘোলার পর আজ থেকে পাকিস্তানে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বহুল কাঙ্খিত এ ট্রফির নবম আসর এটি। স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে টুর্নামেন্ট।
১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেটাই ছিল প্রথম আসর। তারপর প্রতি দুই বছর অন্তর টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলেও ষষ্ঠ আসরে ব্যতিক্রম হয়। প্রথম পাঁচ আসর ঠিক মতো হলেও ষষ্ঠ আসরে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় তিন বছর। পরে চার বছর অন্তর দুই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পর টুর্নামেন্ট ঘিরে স্থবিরতা দেখা দেয়। দীর্ঘ আট বছর পর আয়োজন হচ্ছে নবম আসর।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাঝ দিয়ে পাকিস্তানে ফিরছে প্রকৃত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। ২০০৯ সালে সফরে থাকা শ্রীলঙ্কা দলের বাসের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে ভেনু্য হিসেবে পাকিস্তান এক প্রকার নির্বাসনে চলে যায়। দীর্ঘ ছয় বছর কোনো আন্তর্জাতিক দল সেখানে ক্রিকেট খেলার জন্য পা রাখেনি। সেই কালো অধ্যায় পেছনে ফেলে ধীরে ধীরে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে শুরু করে। গত ছয় বছরে ভারত বাদে সব দেশই পাকিস্তান সফর করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান পেয়েছে আইসিসির এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের সুযোগ।
১৯৯৬ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল। এরপর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করেছে আর পাকিস্তান চেয়ে চেয়ে দেখেছে। ফলে এবারের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানের জন্য অন্যরকম এক টুর্নামেন্ট।
মোট আটটি দল এবারের টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। ‘এ গ্রুপে রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্ব শেষ হতেই সেমিফাইনাল। আগামী ৪ মার্চ প্রথম সেমিফাইনাল। ৫ মার্চ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। আর ৯ মার্চ ফাইনাল।