২০১৮ সালে ভারতের দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করেছিল আফগানিস্তান। ৭ বছর পর সেই প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশের। শারজায় প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে আফগানদের ১৪৩ রানে থামিয়ে দিয়েছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে আফগানিস্তান। প্রথম ওভারে বিনা উইকেটে ১১ তোলে তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে বাংলাদেশকে ‘ব্রেকথ্রু’ এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ওভারের প্রথম বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়লেন জাদরান। ৬ বলে ৭ রান করেন তিনি।
চতুর্থ ওভারে বিদায় নেন আর এক ওপেনার। নাসুমের প্রথম বলে কাট করেছিলেন গুরবাজ। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন শামীম হোসেন। ৯ বলে ১২ রান করেন তিনি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের ফুল টসে বোল্ড ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল। তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
পাওয়ারপ্লে শেষ আফগানদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৩৯ রান। দ্রত তিনি উইকেট হারিয়ে ৮ ওভার শেষে আফগানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬১। এবার বোলিংয়ে এসে রিশাদ হোসেন দেন ১৬ রান।
১১তম ওভারে ফের আফগান শিবিরে আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। বড় ইনিংস খেলার আভাস দিয়ে সাইফউদ্দিনের বলে সেদিকউল্লাহ আতাল ক্যাচ দেন তানজিদ হাসানের হাতে। ২৩ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ রান করেন তিনি।
নিজের প্রথম ওভারে ১৬ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান রিশাদ হোসেন। ফেরালেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। রিশাদের টার্ন করা বলে ওমরজাই ছক্কা মারার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। কিন্তু বল ব্যালের কিনারায় লেগে গেল নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৬ বলে ৩ রান করেন। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ নবীও টিকতে পারেনি। নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড ৪ বলে ১ রান করে।
১৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৯০ রান তোলে আফগানরা। নবী আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন রশিদ খান। আফগান অধিনায়ক ব্যাটিংয়ে দ্রত রান তোলার চেষ্টা করেন। নাসুমকে ছক্কা মারার পর রিশাদকে চার মেরেছিলেন রশিদ খান। এরপর তানজিম হাসানকে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আফগান অধিনায়ক ফাইন লেগে ধরা পড়লেন নাসুমের হাতে। ৭ বলে ১২ রান করে বিদায় নেন রশিদ।
পরের বলেই আবদুল্লাহ আহমেদজাইকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়েছেন তানজিম। কিন্তু দশে নামা মুজিব উর রেহমান সেই বলটা ঠেকিয়ে দেওয়ায় হ্যাটট্রিক হলো না। ১৬ ওভারে আফগানদের রান তখন ৮ উইকেটে ১০৬। নিজের শেষ ওভারে রিশাদ দেন ১৩ রান। ১৭ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১১৯ রান। এরপর ধুঁকতে থাকা আফগানদের টেনে তোলার চেষ্টায় কিছুটা সফল হয়েছেন দারবিশ রাসুলি ও মুজিব উর রেহমান। দুজন মিলে নবম উইকেটে গড়েছেন ৩৪ রানের জুটি, যা ইনিংসে সর্বোচ্চ।
নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে রাসুলিকে আউট করে এই জুটি ভাঙলেন সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানে থামে আফগানরা। বল হাতে সাইফউদ্দন ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া নাসুম আহমেদ ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে দুটি এবং তানজিম হাসান সাকিব ২ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















