সম্বল ছিল মাত্র ১৪১ রান। লড়াইয়ের জন্য যা মোটেও যথেষ্ঠ ছিল না। কিন্তু শারজায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তান এই রানকেই আফগানিস্তানের সামনে পাহাড়সম করে তুলেছিল। মোহাম্মদ নাওয়াজের ভেলকিতে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে মুড়িয়ে ৭৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে পাকিস্তান, হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
পাকিস্তানের জয়ের নায়ক মোহাম্মদ নাওয়াজ ৪ ওভারে ১৯ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। করেছেন হ্যাটট্রিক। শুধু বল হাতে নয়, ব্যাট হাতেও ছিলেন উজ্জ্বল। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ২৫ করেছেন। এমন পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা স্বাভাবিকভাবে তার হাতেই শোভা পেয়েছে।
৭১ ম্যাচের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটাই তার সেরা বোলিং। এর আগে ২০ ওভারের ক্রিকেটে কখনো তিনি ৩ উইকেটের বেশি নিতে পারেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে পঞ্চম সেরা বোলিং করলেন এই অলরাউন্ডার।
তার পাশাপাশি আবরার আহমেদ ও সুফিয়ান মুকিমের বোলিং আফগানিস্তান সত্যিকারভাবেই বিপর্যস্ত হয়েছে। ওপেনার সেদিকুল্লাহ অতল ছিলেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। ১৩ রান করেছেন। এছাড়া রশিদ খান পৌঁছেছেন দুই অংকের রানে। করেছেন ১৭। অন্যদের কেউ ব্যক্তিগত রানকে দুই অঙ্কে নিতে পারেননি।
নাওয়াজ দুই ওভার মিলে হ্যাটট্রিক করেছেন। ষষ্ঠ ওভারের শেষ দুই বলে দারবিশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ফেরানোর পর অষ্টম ওভারের প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরানকে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন। টিভি রিপ্লে দেখে তাকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। এই ওভারের চতুর্থ বলে চতুর্থ উইকেট নেওয়ার পর ১৩তম ওভারে এসে পঞ্চম উইকেট পান তিনি।
এর আগে ৮ উইকেটে ১৪১ রান করে পাকিস্তান। ২৬ বলে ২৭ রান করেন ফখর জামান। অধিনায়ক সালমান আগার সংগ্রহ ছিল ২৪ রান। নাওয়াজের ২৫ রানের পাশাপাশ অন্যদের অল্প বিস্তার রান নিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ১৪১। রশিন খান ৩৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















