আফগানিস্তানের কাছে টানা দ্বিতীয় হার
সফরকারী আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কাছে আবার হেরেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। সিরিজের চতুর্থ যুব ওয়ানডেতে আজ রাজশাহীতে আফগান যুবারা ৪৭ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকদের। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। তবে দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। উভয় ম্যাচের ভেন্যু ছিল বগুড়া শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এরপর তৃতীয় ওয়ানডে হয়েছে রাজশাহীতে। ম্যাচটি জিতে সিরিজে সমতা আনে আফগানিস্তান। আজ (শুক্রবার) একই ভেন্যুতে দুই দলের লড়াই ছিল এগিয়ে যাওয়ার।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের যুবারা ৪৯.৩ ওভারে ২৫৮ রানে গুটিয়ে যায়। ৫০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়ে তারা। ওয়ানডাউনে নামা ফয়সাল শিনোজাদা করেন সেঞ্চুরি। আর উজাইরউল্লাহ নিয়াজাই ১০০ বলে ১১ চার, ১ ছয়ে ৭২ রান করে আউট হন। এরপর আর ফয়সালকে সঙ্গ দিতে পারেননি।
একপ্রান্তে একাই লড়ে ফয়সালও সেঞ্চুরির পর ১১৬ বলে ১০ চার, ৪ ছক্কায় ১১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দুর্দান্ত বোলিং করেন বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। তিনি ৯.৩ ওভারে ৫১ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে এই তরুন পেসার ৫টি উইকেট নেন।
টপঅর্ডারদের ব্যর্থতা
২৫৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা। এর পেছনে টপঅর্ডারদের চরম ব্যর্থতাই মূলত দায়ী। মাত্র ৪০ রানেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ধস নামান ডানহাতি পেসার আব্দুল আজিজ ও অফস্পিনার ওয়াহিদউল্লাহ জাদরান।
আফগানিস্তানের কাছে হার : ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের
সেন্ট্রাল এশিয়া ভলিবল অ্যাসোসিয়েশন তথা কাভা কাপ এর ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না বাংলাদেশের।
এরপর দেবাশিষ দেবাকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোঃ আব্দুল্লাহ ১০৮ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়লেও তা দলকে জেতানোর মতো যথেষ্ট ছিল না। দেবাশীষ ৬১ বলে ২ চার, ৪ ছক্কায় ৫১ রানে সাজঘরে ফিরলে আর টার্গেটের কাছাকাছিও যেতে পারেনি বাংলাদেশের যুবারা।
সংগ্রাম করতে থাকা আব্দুল্লাহও শেষ ওভারে গিয়ে ১৬০ বলে ৬ চার, ৩ ছয়ে ৯৫ রানে আউট হয়ে যান। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২১১ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯। আব্দুল আজিজ ৬.২ ওভারে ২ মেডেনে ২৮ রান দিয়ে ৪টি এবং ওয়াহিদউল্লাহ ২টি উইকেট নেন।
