ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা পেসারকে? এই প্রশ্নে বিতর্ক থাকলেও বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা পেসার মানা হয় শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। তার আগুনে বোলিংয়ে প্রতিপক্ষ্যের অনেক ব্যাটার পুড়েছে। এবার আফ্রিদির রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন বিপিএল মাতানো ওমানের বিলাল খান।
অবশ্য বিশ্ব ক্রিকেটে খুব একটা পরিচিত নেন তিনি। অথচ সেই বিলালই গড়লেন ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে অনন্য এক কীর্তি। তিনিই প্রথম পেসার, এই সংস্করণে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন যিনি ৫০ ম্যাচ না খেলেই।
ওয়ানডেতে দ্রুততম ১০০ উইকেট শিকারি পেসার এখন বিলাল। নামিবিয়ার বিপক্ষে তিন উইকেট নেওয়ার পথে এই অর্জন ধরা দেয় ৩৭ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসারের। এখানে তিনি পেছনে ফেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।
১০০ উইকেটের রেকর্ড ছুঁতে পাকিস্তানের বাঁহাতি ফাস্ট বোলারের লেগেছিল ৫১ ম্যাচ। সেখানে বিলাল উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন ৪৯ ম্যাচ খেলে। আরেক বাঁহাতি পেসার অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ১০০ ছুঁয়েছিলেন ৫২ ম্যাচ খেলে।
পেস-স্পিন মিলিয়ে বিলাল অবশ্য তৃতীয় দ্রুততম একশ উইকেট শিকারি। ৪২ ম্যাচে ১০০ ছুঁয়ে গত বছর বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন নেপালের লেগ স্পিনার সান্দিপ লামিছানে। ৪৪ ম্যাচে এই মাইলফলক ছুঁয়ে রেকর্ডের দুইয়ে আছেন আফগান লেগ স্পিনার রাশিদ খান।
ওয়ানডেতে তার বোলিং গড় ২০.৯৭। অন্তত ১০০ উইকেট পাওয়া পেসারদের মধ্যে তার চেয়ে ভালো বোলিং গড় আছে কেবল আর তিন জনের, ক্যারিবিয়ান গ্রেট জোয়েল গার্নার (১৮.৮৪), অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি ডেনিস লিলি (২০.৮২) এবং নিউ জিল্যান্ডের সাবেক গতি তারকা শেন বন্ড (২০.৮৮)।
ওয়ানডের পাশপাশি তার টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও দারুণ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৭৯ ম্যাচে ১১০ উইকেট আছে তার, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭৮। গত বিপিএলে তিনি খেলেছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। ১৩ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ছিলেন তিনিই।