ইতিহাস গড়ার আগে মুশফিকের সেঞ্চুরি । কয়েক দিন পরই ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের শততম টেস্ট খেলতে মাঠে নামবেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তার আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগ চার দিনের ম্যাচ খেলছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সেখানে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তিনি।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুশফিকের নানারকম উদযাপন নানা সময়েই দেখা গেছে। কিন্তু ইতিহাস গড়ার আগে এবার জাতীয় লিগে দেখা গেল তার এমন উদযাপন। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে সিলেট বিভাগের হয়ে সেঞ্চুরি করেন তিনি মঙ্গলবার সকালে।
সামনেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ। সব ঠিকঠাক থাকলে সেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টের অবিস্মরণীয় মাইলফলক তিনি স্পর্শ করবেন। সেই টেস্টের লড়াইয়ের জন্য তার প্রস্তুতিটা দারুণ হলো এই সেঞ্চুরি দিয়ে।
সেঞ্চুরির থেকে সাত রানের দূরত্বে থেকে শেষ দিন মাঠে নামেন মুশফিক। দলের উইকেট বাকি তখনও তিনটি। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান ইবাদত হোসেন চৌধুরি। এক ওভার পরেই আউট দশে নামা সৈয়দ খালেদ আহমেদও।
মুশফিক তখন অপরাজিত ৯৬ রানে, আরেক প্রান্তে শেষ ব্যাটসম্যান! তবে ওভারের শেষ বলটি ভালোভাবেই সামলে নেন শেষ ব্যাটসম্যান নাবিল সামাদ। পাঁচ উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনায় থাকা রিপন মন্ডল রাউন্ড দা উইকেটে এসে বাউন্সার করেন বাঁহাতি নাবিলকে। তবে তিনি তা ছেড়ে দিতে পারেন ভালোভাবেই।
পেসার এনামুলের করা পরের ওভারের প্রথম বলটি ডিফেন্স করেন মুশফিক। পরের বলেই স্কুপ শটে ওই বাউন্ডারি ও উদযাপন। আগের দিন মুশফিককে বেশ কয়েকটি বাউন্সার করেছিলেন এনামুল, একটি লেগেছিল হেলমেটেও। তার উদযাপনে মিশে থাকতে পারে সেটির জবাব।
ওই ওভারের শেষ বলে একটু লাফিয়ে কাট করে তিনি বাউন্ডারি মারেন আরেকটি। রিপনের করা পরের ওভারটি নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন শেষ ব্যাটসম্যান নাবিল। এরপর এনামুলের ওভারে আবার দুটি বাউন্ডারি মারেন মুশফিক।
শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের বিদায়েই শেষ হয় ইনিংস। ৮ চার ও ২ ছক্কায় ২০৫ বলে ১১৫ রানে বোল্ড হন তিনি তাইবুর রহমানের বাঁহাতি স্পিনে। তার বিদায়ে সিলেটের ইনিংস শেষ হয় ২৯০ রানে। ২০ রানের লিড পায় ঢাকা।
তবে বগুড়ার ছেলে মুশফিক এমনিতে বরাবরই খেলে থাকেন রাজশাহীর হয়ে। তবে এবার তিনি খেলছেন সিলেটের হয়ে। ৩৮ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি ১৯তম সেঞ্চুরি। এর ১২টি করেছেন তিনি টেস্ট ক্রিকেটে।
