পাকিস্তান সফরের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৭ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এদিন ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়ে ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ ওপেনার। তার দ্রততম সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৯১ রান তোলে।
ইনিংসে ১৩টি ছক্কা মেরেছে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে যা তাদের সর্বোচ্চ। এর আগে কোনো ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১২টি। ২০১৮ সালে মেরেছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষ। একই সাথে দেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে করেন সেঞ্চুরি। ব্যাট হাতে গড়লেন বাংলাদেশের হয়ে এই সংস্করণে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। তার প্রাপ্তির দিনে একটি রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ।
জবাবে ১৯২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওপেনিং জুটিতে ৩.৫ ওভারে ৪০ রান তোলে স্বাগতিকরা। ওপেনার মোহাম্মদ জুহাইব ৯ বলে ৯ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বিদায় নেন। তবে অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম দলের পক্ষে ঝড়ো ইনিংস খেলে ৪৯ বলে সাত বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৫৪ রান করে ফেরেন।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ৪২ রান করেন আসিফ খান। এছাড়া রাহুল চোপড়া ২২ বলে ৩৫ রান করেন। আর কোন ব্যাটার বাংলাদেশের বোলারদের সামনে টিকতে পারেন। বল হাতে হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ৩৩ রানে তিনটি। এছাড়া তানজিম সাকিব,মোস্তাফিজ ও মেহেদী হাসান দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে শারজায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইমনের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে এদিন ইমন ছাড়া আর কেউ সুবিধা করতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরটি তাওহীদ হৃদয়ের। তিনি ১৫ বলে ২০ রান করেছেন তিনি।
ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১০ রান করে মতিউল্লা খানের বলে বিদায় নেন তানজিদ হাসান তামিম। নেতৃত্বের দায়িত্ব পাওয়া লিটন দাস ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে।
তবে উইকেটের অন্যপ্রান্তে থাকা ইমন শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়েছেন প্রতিপক্ষ বোলারদের ওপর দিয়ে।
ফলে ১০ ওভারে ১০৩ রান তুলে বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভার থেকে মারমুখী হওয়া ইমন হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৮ বলে। এই পথে সঞ্চিত শর্মার এক ওভারে ৩ ছক্কায় ২২ রান তুলেন তিনি। আর হাত খোলার আগেই বিদায় নেন তাওহীদ হৃদয়। ১৫ বলে হৃদয় করেন ২০ রান। শেখ মেহেদী ৫ বলে ২ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। জাকের আলী অনিক ১৩ বলে ১৪ রান করার পর শেষ হয় তার ইনিংস।
তবে ৮৪ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ইমন। কিন্তু পরে দেখা যায় মতিউল্লাহর করা বলটি নো, ইমনও ফের ব্যাটিংয়ে আসেন। শামিম আউট হন ৬ রান করে। ইমন সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫৩ বলে। পরের বলেই বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। ইনিংসে ৫টি চারের পাশাপাশি ৯টি ছয় হাঁকান তিনি। জাওয়াদুল্লাহ নেন ৪ উইকেট।
প্রথম টি-২০ সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৯১/৭
আরব আমিরাত ২০ ওভারে ১৬৪/১০
বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী