১৪ অক্টোবর হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান। এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। মাঠের বাইরেও দু’দেশের মধ্যে আছে বৈরি সম্পর্ক। সেই সাথে আছে রাজনৈতিক উত্তপ্ততা। এই বহুল প্রতিক্ষিত ম্যাচকে ঘিরে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। ভারত ও পাকিস্তান দু দলই এবারের বিশ্বকাপের আসরে দুইটি করে ম্যাচ জিতেছে। এই ম্যাচে জয় কার ভাগ্যে আছে তা দেখতে মুখিয়ে আছে লাখো-কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। আশার খবর হলো দেরিতে হলেও ভিসার দুয়ার খুলে দিচ্ছে ভারত। এতে করে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন পাকিস্তানের সাংবাদিক-সমর্থকরা।
ম্যাচের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে উত্তেজনা। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শনিবার দুপুর আড়াইটায় লড়বে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। চলতি বছরে এশিয়া কাপে দুই ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়ে একটাতে জয় পেয়েছে ভারত। অন্যটাতে পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে।
২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৯ রানে জয় পেয়েছিলো ভারত। ২০১৮ সালে দুবাইতে অনুষ্ঠিত হওয়া ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। সেই দুই ম্যাচেও রোহিত শর্মারা বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল।
তবে এখন পর্যন্ত ওয়ানডে পরিসংখ্যান হিসেব করলে ভারতের চাইতে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ক্রিকেটের ৫০ ওভারের এই ফরম্যাটে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৩৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। তার মধ্যে ৭৩টি জিতেছে পাকিস্তান ও ৫৭টি ম্যাচে জিতেছে ভারত। এছাড়া ৪টি ম্যাচে কোনো ফলাফল আসেনি।
আশির দশক পর্যন্ত ক্রিকেটে প্রতিবেশী ভারতের ওপর আধিপত্য ছিলো পাকিস্তানের। ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তার আগে হেরেছিল ভারতের কাছে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ফাইনালে ওঠা ওয়াসিম আকরামের দল ভারতের কাছে হেরেছিল। সেই ম্যাচে ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। সব মিলিয়ে সাতবারের সাক্ষাতে এখনো জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তান।
এদিকে আফগানিস্তানের কাছে গেলো ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পেয়েছে ভারত। ম্যাচে বিশ্বকাপে শচিন টেন্ডুকারের ছয় সেঞ্চুরি টপকে যান রোহিত। ভারতীয় অধিনায়কের আগ্রাসি রুপ আগেও দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। আগে আগেভাগে ফেরাতে না পারলে যে কোন দলের জন্যই বিপদ। পাকিস্তানেরও নিশ্চয়ই তা অজানা নয়।
এদিকে, পাকিস্তানও আছে দারুণ ফর্মে। অবশ্য অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে বিপাকে টিম পাকিস্তান। গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোকে তার উইলো দলকে ভরসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। যদিও মির্ডল অর্ডারের কারণে উৎরে যাচ্ছে টিম পাকিস্তান। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার প্রমাণ মিলেছে। সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইক আথারটনের বাজি এই ম্যাচে জিতবে পাকিস্তানই।
গোল্ডেন টিটিকধারীরা সবাই আসবেন এক লাখ ৩২ হাজার আসনের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আর্কষণীয় এই ম্যাচ উপভোগ করতে। অবাক করা হলেও সত্য যে, বিশ্বকাপের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান ভেস্তে গেলেও এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচ শুরুর আগে আধা ঘণ্টা কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
