অবসর নেওয়ার পরও ব্যাটে জাদু দেখিয়ে যাচ্ছেন ‘মিস্টার ৩৬০’ এবি ডি ভিলিয়ার্স। যেন সময়কে থামিয়ে রেখেছেন প্রোটিয়া এই ক্রিকেটার। এবার তার ব্যাটে বিধ্বস্ত হলো পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স, আর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের শিরোপা জিতে নিল ‘দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স’। বার্মিংহ্যামে শনিবার (২ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাকিস্তানকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারা প্রোটিয়ারা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৯৫ রান। শারজিল খান ৪৪ বলে ৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন, যেখানে ছিল ৯টি চার ও ৪টি ছক্কা। তার সঙ্গে উমর আমিন করেন ৩৬, আসিফ আলী ২৮, শোয়েব মালিক ২০ এবং মোহাম্মদ হাফিজ ১৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে হারদুস ভিলজোয়েন ও ওয়েন পারনেল ২টি করে উইকেট শিকার করেন, একটি উইকেট নেন দুয়ান্নে অলিভার।
১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ৬ ওভারেই স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে ৭২ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে হাশিম আমলা ফিরে যান ১৪ বলে ১৮ রান করে। তবে তার বিদায়ের পর পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেয় দুই অভিজ্ঞ, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনি।
দুইজনই যেন খেললেন নিজেদের পুরোনো দিনে ফিরে গিয়ে। ১৬.৫ ওভারেই ২৩ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স। ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি আসে অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে। তিনি করেন মাত্র ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রান। ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা। পুরো আসরে এটি ছিল তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, ডুমিনি খেলেন ২৮ বলে অপরাজিত ৫০ রানের কার্যকর ইনিংস, যেখানে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কা।
ফাইনালের ম্যাচসেরা তো বটেই, পুরো টুর্নামেন্টেই ব্যাট হাতে আলো ছড়ান ডি ভিলিয়ার্স। ৪২৯ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক শিরোপা না জয়ের যে দীর্ঘ আক্ষেপ ছিল ডি ভিলিয়ার্সের ক্যারিয়ারে, এবার সেটাও ঘুচলো। সাবেকদের আসর হলেও ব্যাট হাতে তিনি আবারও মনে করিয়ে দিলেন, কেন তাকে বলা হয় আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা শিল্পী।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















