বিপিএলের সর্বশেষ আসরে চিটাগং কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজিটি প্রধান কোচ শন টেইটসহ কয়েকজন ক্রিকেটারের পারিশ্রমিক বকেয়া রেখে গেছে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও বকেয়া অর্থ পরিশোধ করেনি। এই অবস্থায় পারিশ্রমিক বিতর্কের চাপ সামলাতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)।
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি অল্প কিছু পাওনা টাকা পরিশোধ করলেও আয়-ব্যয়ের সমন্বয় করতে পারছে না বিসিবি। দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রথম দুই মৌসুমের অর্থও বকেয়া রয়েছে। তবে এই দেনা পরিশোধ না করে, উল্টো সাফাই দিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরি।
সোমবার (১১ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে সামির কাদের জানান, বিসিবি তাদের বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি টাকার লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছে যা তার দৃষ্টিতে অসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে নোটিশের একদিন পরেই বিসিবিকে জবাব দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে সমাধানের জন্য বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি।’
তবে বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে দেখা করতে না পারার কথাও উল্লেখ করেন সামির, ‘আমরা কয়েকবার চেষ্টা করেও দেখা করতে পারিনি। ফোনে দুই-তিনবার কথা হয়েছে, কিন্তু তিনি নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় দেখা সম্ভব হয়নি।’
বিপিএলের গত আসরে পারিশ্রমিক বিতর্কে চিটাগং কিংসের নাম বেশকিছুদিন ধরেই সামনে আসছিলো। প্রথম দুই আসরেও ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছ থেকে বিসিবি পুরো অর্থ পায়নি। এর পর ৮ আসরের বিরতির পর সাম্প্রতিক আসরে দল অংশগ্রহণ করলেও একই ধরনের বকেয়া সমস্যা আবারও দেখা দিয়েছে। ক্রিকেটার, কোচ, টিম মেন্টরসহ বিভিন্ন স্তরে পারিশ্রমিক বকেয়া রয়েছে।
বিশেষ করে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদিকে টিম মেন্টর হিসেবে নিয়োগ দিলেও তার পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ উঠে। এই বিষয়ে সামির কাদের দায় স্বীকার করে বলেন, ‘শাহিদ আফ্রিদির পুরো টাকা না পাওয়ার বিষয়টি বিসিবির দোষ নয়, এটা আমার দায়িত্ব।’
অপরদিকে দলটির ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনের পারিশ্রমিক নিয়ে সামির কাদের জানান, ‘পারফরম্যান্স নিয়ে আমার কিছু অসন্তুষ্টি ছিল এবং পারভেজের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ হয়নি কারণ সে তখন ছুটিতে ছিল।’
এই নানা জটিলতার মধ্য দিয়েই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি মাসের পর মাস পারিশ্রমিক বকেয়া রেখে আসছে। এরফলে দেশের এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অনেক সমালোচনাও হচ্ছে দলটিকে নিয়ে। এই ধরনের ঘটনা বিপিএল কিংবা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বহির্বিশ্বে একদমই শুভকর বার্তা পাঠাবে না। ভবিষ্যতে বিদেশী খেলোয়াড়রা বিপিএল খেলতে অনাগ্রহ দেখালেও সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
