বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতা হলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। তাদের ছয় উইকেট হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিপিএলে শিরোপা জিতলো বরিশাল। তাদের এই শিরোপা এলে তামিম ইকবালের হাত ধরেই।
অথচ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তামিম-মুশফিক-মাহমুদুল্লাহদের নিয়ে গড়া দলটাকে বলা হয়েছিলো বুড়োদের দল। সেই বুড়োড়াই তাদের হাড়ের ভেল্কি দেখিয়ে শিরোপা জয় করে নিলো।
টস জিতে শুরুতে বোলিং বেছে নিয়ে কুমিল্লার ব্যাটারদের ১৫৪ রানে বেধে রাখে বরিশালের বোলাররা। পরে অনায়াসেই তা টপকে যায় বরিশাল। ১৫৫ রানের লক্ষ্যে তামিম-মিরাজের উদ্বোধনী জুটি ৭৬ রান তুলে সে কাজটা আরও সহজ করে দেয়। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা কাইল মায়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রান তুলে জয়ের পথটা আরও সহজ করে দেন।
মূলত বোলারদের কল্যাণে দ্বিতীয় কোয়ালিফাইয়ারের মতো এই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে অল্প রানে বেধে রাখে বরিশাল। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে সহজেই তা টপকে যায় তামিম-মুশফিকরা।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লা শুরুতে একটা বাজি খেলার চেষ্টা করেছিল তারা। কিন্তু সে বাজিতে কাজ হয়নি। সুনীল নারাইন তেমন কোনো বোনাস রান এনে দিতে পারেননি। অধিনায়ক লিটন দাস, তৌহিদ হৃদয় এবং জনসন চার্লেসের অবস্থাও একই। ব্যর্থ হয়েছেন তারাও।
মূলত নির্ধারিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে কুমিল্লা। তার মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। সতীর্থদের বিপর্যয়ের মাঝে ৩৮ রানের ঝলমলে একটা ইনিংস উপহার দেন।
তবে শেষ সময়ে এসে কুমিল্লার বড় আস্থাটা এনে দিয়েছেন জাকের আলী ও আন্দ্রে রাসেল। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা ৩৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। মাত্র ৩.২ ওভারে তারা এই রান করেন। আন্দ্রে রাসেল বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন। মাত্র ১৪ বলে ২৭ রান করেন তিনি। অন্যদিকে জাকের আলী ২৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বরিশালের বোলার জেমস ফুলারের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে আন্দ্রে রাসেল। তবে দারুণ বোলিং করেছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। আন্দ্রে রাসেল যখন ঝড় বইয়ে দিয়েছেন সে ঝড়ের মাঝেও তিনি শেষ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়েছেন। অথচ ওভারে তিনটি ওয়াইড এবং একটি নো বল ছিল।