একটানা ১৬ বছর বাংলাদেশের ক্রিকেটে জড়িয়ে ছিল তার নাম। শুরুর দিকে প্রশংসিত হলেও সর্বশেষ ৬/৭ বছর বেশ সমালোচিত হয়েছেন গামিনি ডি সিলভা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) জাতীয় কিউরেটর হিসেবে তার তত্ত্বাবধানেই ছিল দেশের আন্তর্জাতিক ভেন্যু। ২০০৯ সালে যোগ দেওয়া সেই গামিনির অবশেষে বিদায় ঘটল। (আজ) শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিদায়ের প্রাক্কালে বেশ আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
৬৫ বছর বয়সী মাঙ্গামুনি গামিনি ডি সিলভা বিসিবির সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করেন শনিবার। এদিন তাকে আলাদাভাবে বিসিবি পরিচালক, গ্রাউন্ডসম্যান ও কিউরেটর আনুষ্ঠানিক বিদায় জানায়। এ সময় বিসিবি পরিচালকরা, গ্রাউন্ডস অ্যান্ড ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের কর্মকর্তারা এবং বিসিবির বিভিন্ন স্টাফ গামিনিকে তার এই দীর্ঘ সময় কাজের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
২০০৯ সালে বিসিবির সঙ্গে যোগ দেওয়া গামিনি বেশ সুনামের সাথেই কাজ শুরু করেন। তার অধীনে মূলত দেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম সফরকারী দলগুলোর জন্য ভয়ানক হয়ে ওঠে। বাংলাদেশ দলও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো পরাশক্তিদের বিপক্ষে এই মাঠে জিতে যায়। তবে মিরপুরের উইকেট ‘কুখ্যাতি’ পেয়ে যায় দেশের ক্রিকেটারদের কাছে এর বিরূপ আচরণের কারণে। তাই দ্রুতই গামিনি অনেক সমালোচিত হতে শুরু করেন।

অবশেষে এবার গামিনি ডি সিলভাবে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। এরই প্রক্রিয়ায় তাকে মিরপুর থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজশাহীতে। গত জুলাইয়ে তার সঙ্গে আরও ১ বছরের জন্য চুক্তি বাড়ানো হয়। কিন্তু আগেভাগেই তাকে চলে যেতে হচ্ছে। বিসিবিও চায় না তাকে। এজন্য বাড়তি ২ মাসের বেতন পাচ্ছেন গামিনি। চুক্তির প্রায় ৬ মাস বাকি থাকতেই আজ আনুষ্ঠানিক বিদায় ঘটল তার।
তার তত্ত্বাবধানে থাকা উইকেটে বাংলাদেশ দল ৩২ টেস্ট ১০৬ ওয়ানডে ও ৬৮ টি-২০ খেলেছে। এছাড়া ২০১১ সালে ছেলেদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৪ সালে নারী-পুরুষ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের তিনটি এশিয়া কাপ ও ১১টি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হয়েছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















