বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অস্বস্তিতে পাকিস্তান। আজ চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান করেছে বাবর আজমের দল। সৌদ শাকিল (৫২) ও বাবর আজমের (৫০) দুই হাফ সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের এই সংগ্রহ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। আবদুল্লাহ শফিক মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান। অপর ওপেনার ইমাম উল হকও সুবিধা করতে পারেননি। ১২ রানে আউট হন তিনি।
পাকিস্তান দলের সফল ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ৩১ রান করে দলকে বিপদে ফেলে চলে যান। একই অবস্থা ইফতিখার আহমেদের। যখন বড় ইনিংস খেলার দরকার তখন তিনি মাত্র ২১ রান করেছেন।
পাকিস্তান স্কোর বোর্ডে সম্মানজনক রান দাঁড় করিয়েছে ঠিকই তবে বড় কোনো জুটি তারা গড়তে পারেনি। যখনই একটা জুটি বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে তখনই তা ভেঙ্গে দিয়েছেন প্রোটিয়া বোলাররা। ফলে কোনো ব্যাটার ক্রিজে থিতু হয়ে ব্যাটিং ঝড় তুলতে পারেননি।
আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও বাবর আজম ৫০ রান করে আউট হয়েছেন। তবে দামী একটা ইনিংস উপহার দিয়েছেন সৌদ শাকিল। ৫২ রান করেছেন তিনি সমসংখ্যক বলে। সাতটি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি।
বাবর তার ৫০ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ৬৫ বলে। চার বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। রিজওয়ান ২৭ বলে ৩১ রান করতে বাবরের সমান বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। রিজওয়ান আরো একটু সময় ক্রিজে নিজেকে রাখতে পারলে পাকিস্তানের সংগ্রহটা আরো সমৃদ্ধ হতো তা বলা যায়।
পাকিস্তানের রান সমৃদ্ধ হওয়ার পথে শাদাব খানের অবদান কম নয়। ৩৬ বলে তিনি ৪৩ রান করেছেন। তিন বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। অন্যদিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ২৪ বলে ২৪ রান করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফল বোলার ছিলেন তাবরেইজ শামসি। ৬০ রানে ৪ উইকেট শিকার তার। মার্কো ইয়ানসেন ৯ ওভারে ৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। জেরাল্ড কোয়েতজে নিয়েছেন দুই উইকেট।
