পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক জয় দিয়ে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর টানা পাঁচ ম্যাচে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে সবার আগে বিদায় নিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সোমবার (২০ অক্টোবর) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ রানের অবিশ্বাস্য হারের পর স্বপ্নভঙ্গ হলো টাইগ্রেসদের। ম্যাচ শেষে দলের ব্যর্থতা ও শেষদিকে স্নায়ুচাপ সামলাতে না পারার বিষয়টি স্বীকার করেছেন অধিনায়ক জ্যোতি।
লঙ্কানদের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ৫ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল মাত্র ২৭ রান, হাতে ছিল ৭ উইকেট। কিন্তু সেই সহজ সমীকরণও মেলাতে পারেনি জ্যোতির দল। দলীয় খাতায় মাত্র ১ রান যোগ করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে হাতছাড়া হয় ম্যাচ ও সেমিফাইনালের আশা।
এই হারের পর জ্যোতি বলেন, “এই ধরনের রান তাড়ায় আমরা টিভিতে দেখেছি অন্য দলগুলো নিজেদের স্থির রাখে। কিন্তু আমরা পারিনি, আমরা চাপ নিতে পারিনি। আমাদের এটা নিয়ে ভাবতে হবে।”
ইনিংসের চতুর্থ উইকেটে জ্যোতি ও শারমিন সুপ্তা মিলে ৮২ রানের দারুণ জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামলান। তবে পায়ের ক্র্যাম্পে সুপ্তাকে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়, যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয় বলে মনে করেন জ্যোতি। তিনি বলেন, “শুরু থেকেই এটি আমাদের ম্যাচ ছিল। আমি আর সুপ্তা ভালো ব্যাট করছিলাম। কিন্তু ও যখন ক্র্যাম্পের কারণে বাইরে চলে গেল, মোমেন্টাম বদলে যায়।”
সুপ্তার পর স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ৫০ রানের আরেকটি জুটি গড়েছিলেন অধিনায়ক। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ধারাবাহিক উইকেট হারানোই সর্বনাশ ডেকে আনে। “স্বর্ণার সঙ্গে জুটি ভালো যাচ্ছিল, কিন্তু আমরা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়েছি। এই রান তাড়া করার মতোই ছিল,” যোগ করেন জ্যোতি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই নয়, এর আগে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হিদার নাইটের প্রতিরোধ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ওভারে ক্যাচ ফসকানো—এসবই টাইগ্রেসদের স্বপ্নভঙ্গের কারণ।
জ্যোতির ভাষায়, “আমরা এমন তিনটি ম্যাচ হেরেছি, যা খুবই কষ্টের। কিছু মুহূর্তে আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি, স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারিনি।”
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের এখন মাত্র একটি ম্যাচ বাকি, ভারতের বিপক্ষে। তবে টানা পাঁচ হারে মাত্র ২ পয়েন্টে থাকা টাইগ্রেসদের জন্য সেই ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















