বিপিএলের দ্বিতীয় হাইভোল্টেজ কোয়ালিফায়ারে খুলনাকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চিটাগং কিংস। কিন্তু এই ম্যাচে চিটাগং কিংসের হয়ে ব্যাটিংয়ে শেষ মুহুর্তে চোট পান আলিস আল ইসলাম। এরপর ব্যাটিং না করে ডেসিংরুমে ফিরে যান আলিস। কিন্তু দুই বল পরই আবার তাকে নামতে হয় মাঠে।
শেষ বলে জিততে যখন প্রয়োজন চার রান! সেই বলে বাউন্ডারি মেরে চিটাগং কিংসকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন আলিস। আলিস ও আরফাত সানি দুজনই মূলত স্পিনার। ব্যাটের হাত খুব ভালো বলে পরিচিতি ছিল না কারও।
কিন্তু দুজনের বীরোচিত ব্যাটিংয়ে বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে শেষ বলে খুলনা টাইগার্সকে হারায় চিটাগং। শেষের ওই উথালপাথাল সময়ে উইকেটে সঙ্গী সানির সঙ্গে কথোপকথনের গল্প ম্যাচের পর জানিয়েছেন আলিস।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন,‘রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই বললেন যে, ‘যদি দৌড়াতে না পারো, তাহলে বাইরে যাওয়াই ভালো হবে।’ ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
প্রথমে বললাম, ‘আমি চেষ্টা করি।’ সানি ভাই বললেন, ‘দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও মারতে পারবে।’ শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ আমাদের পক্ষে আছে।”
এছাড়া তিনি বলেন,‘শেষ বলে আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, ‘ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয় মেরে দেব।’ সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)।’
আলিস আরও বলেন,‘আমিও অনেক দিন যাবত চেষ্টা করছিলাম ব্যাটসম্যান হওয়ার বা ব্যাটিং করার। কিন্তু হচ্ছিল না কখনও। আমি সেন্টারে (উইকেটে) গিয়ে পারছিলাম না। সিলি সিলি আউট হয়ে যাচ্ছিলাম। সানি ভাই বলছিলেন যে, ‘বিশ্বাস রাখ। ক্রিকেট যে কোনো কিছুর খেলা। যে কোনো কিছু হতে পারে।’