বিশ্বকাপ লড়াইয়ে টিকে থাকতে নিউজিল্যান্ডের জন্য না হলেও আফগানিস্তানের জন্য আজকের ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। সে ম্যাচে চেন্নাইতে আজ আফগানিস্তান ২৮৮ রানে বেঁধে ফেলেছে প্রতিপক্ষকে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের এই সংগ্রহ।
আফগানিস্তানের আমন্ত্রণে ব্যাট হাতে নেমে দারুণ সূচনা করেছিল নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৩০ রানে ডেভন কনওয়ের উইকেট হারালেও তারা সাবলীল গতিতে সমৃদ্ধ স্কোরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। উইল ইয়ং ও রাচিন রবিন্দ্র দলের এই রান সংগ্রহে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রান করেন তারা।
নিউজিল্যান্ডের এই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটান আমাতুল্লাহ ওমরজাই। একই ওভারে তিনি সেট হওয়া দুই ব্যাটার উইল ইয়ং ও রাচিনকে তুলে নেন। শুধু তাই নয়, মাত্র ১ রানে নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে। উইল ইয়ং ও রাচিন রবিন্দ্র’র পাশাপাশি নতুন ব্যাটার ড্যারিল মিচেলও আউট হয়ে যান।
উইল ইয়ং ৬৪ বলে ৫৪ রান করেন। আর রাভিন্দ্র ৪১ বল খেলে স্কোরবোর্ডে ৩২ রান জমা করেন। ইয়ং অনেকটা মারকুটে ব্যাটিং করেছেন। চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি তি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
গ্লেন ফিলিপসের সামনে সুযোগ ছিল ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা। তার আগের সেরা ইনিংস ৭২। আজ ৭১ রানে আউট হয়েছেন। ৮০ বলে আসে তার এই ৭১ রান। চারটি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে সমৃদ্ধ ছিল ফিলিপসের ইনিংস। অধিনায়ক টম লাথামের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তিনি ১৪৪ রানের জুটি গড়েন। নিউজিল্যান্ড ইনিংসে এটাই সবচেয়ে বড় জুটি।
অধিনায়ক টম লাথাম খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। মোকাবিলা করেন ৭৪ বল। তিনটি বাউন্ডারির পাশাপাশি দুটো ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে। আগের সফল জুটির মতো লাথাম ও ফিলিপস পরপর আউট হয়ে যান। ফলে রানের চাকা বন্ধ হওয়ার একটা আশঙ্কা তৈরি হয়। কিন্তু মার্ক চ্যাপমান তা হতে দেননি। বরং ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন তিনি। ছোট্ট কিন্তু দারুণ কার্যকর ইনিংস খেলেন। ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি। দুই বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজান তিনি এই কার্যকর ইনিংসটি।
আফগানিস্তানের কোনো বোলার সেভাবে আধিপত্য করতে পারেনি। নাভিন উল হক ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই দুটো করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান পেয়েছেন একটা করে উইকেট।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















