বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এশিয়া কাপ যেন বারবার হতাশার গল্প লিখেছে। তিনবার ফাইনালে উঠেও ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা। তবুও প্রতিবার নতুন করে আশায় বুক বাধে বাংলাদেশ দল। এবার লিটন দাসের নেতৃত্বে নতুন প্রত্যাশা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নামছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচেই আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রতিপক্ষ হংকং। আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে লড়াই।
কাগজে–কলমে হংকং তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটা সহজ নয়। কারণ মাথায় ঘুরছে দুই অশনি সংকেত—এক, অতীতের হংকং জুজু; দুই, আবুধাবির মাঠ। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে ঠিক এই হংকংয়ের কাছেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ১০৮ রানে অলআউট হয়ে ২ উইকেটে ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা। প্রায় ১১ বছর পর আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।
অন্যদিকে, জায়েদ স্টেডিয়ামে এখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছিল তারা। তবে এবার প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল, তাই সেই দুর্ভাগ্য কাটিয়ে ওঠার সুযোগও আছে লিটনদের সামনে।
অবশ্য সাম্প্রতিক ফর্ম আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা তিনটি সিরিজ জিতে দারুণ ছন্দে আছে দল। হংকং এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভাঙতে পারেনি, তাই লিটনদেরই ফেবারিট ধরা হচ্ছে।
ম্যাচপূর্ব আত্মবিশ্বাসী শোনাল লিটন দাসকেও। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “আমরা এশিয়া কাপের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। টানা তিনটি সিরিজ জেতা দলকে অবশ্যই অনুপ্রাণিত করছে। এই টুর্নামেন্টে সব দলই ভালোভাবে এসেছে, তবে আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে মুখিয়ে আছি।”
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ফাইনালের ইতিহাসও বারবার হৃদয় ভেঙেছে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে ২ রানে হারে দল। এরপর ২০১৬ ও ২০১৮ সালে ভারতের কাছে ফাইনালে হেরে ট্রফি হাতছাড়া হয়। ২০১৮ সালে লিটন দাসের সেঞ্চুরিও বদলাতে পারেনি ভাগ্য। তাই অধিনায়ক হিসেবে এবার তার চোখ শুধুই শিরোপায়।
লিটন বললেন, “আমরা এখনও শিরোপা জিতিনি। তবে ইতিহাস ভাঙার জন্যই তৈরি হয়। এবার আশা করছি, সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।”
