ক্রিকেটে টস হয়তো ম্যাচের অংশমাত্র, তবে সেটি অনেক সময় পুরো খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম। অধিনায়কের দায়িত্বে প্রথম পরীক্ষাই এই মুদ্রা নিক্ষেপ। কিন্তু ভারতের তরুণ নেতা শুভমান গিলের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাই যেন সবচেয়ে কঠিন হয়ে উঠেছে।
আহমেদাবাদে শুরু হওয়া ভারত–ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টেও ভাগ্য সহায় হলো না গিলের। টানা ষষ্ঠ ম্যাচে টসে হেরে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ডের জন্ম দিলেন গিল। এর আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে একবারও টস জিততে পারেননি। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও একই চিত্র।
এতে করে তিনি ভারতের কিংবদন্তি কপিল দেবকে ছাড়িয়ে গেছেন। ১৯৮৩ সালে অধিনায়কত্বের শুরুতে টানা পাঁচ টস হেরেছিলেন কপিল। এবার সেই তালিকায় গিল এক ধাপ ওপরে উঠে গেলেন। একই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের টম ল্যাথামের সঙ্গীও হলেন তিনি, যিনি অধিনায়কত্বের শুরুতে টানা ছয়বার টসে হেরেছিলেন।
তবে এখনও গিলের সামনে অপেক্ষা করছে আরও একটি “অশুভ” মাইলফলক। দ্বিতীয় টেস্টে যদি তিনি আবারও টসে ব্যর্থ হন, তবে ছুঁয়ে ফেলবেন নিউজিল্যান্ডের বেভান কনডনকে। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে শুরুর সাত ম্যাচে টস হারের রেকর্ড রয়েছে তার দখলে।
টসে দুর্ভাগ্যের এই ধারা অবশ্য শুধু গিলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গত বছর থেকে ভারতীয় দলই যেন টসের সঙ্গে এক অদ্ভুত সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু হওয়া সেই দুর্ভাগ্যে এশিয়া কাপের আগে পর্যন্ত টানা ১৫ বার টস হেরেছিল ভারত—টি–টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে। অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সূর্যকুমার যাদব অধিনায়ক থাকাকালীন টস জিতে ভাঙে সেই ধারা।
ক্রিকেটের ইতিহাসে টসে দুর্ভাগ্যের নজির অবশ্য কম নয়। ইংল্যান্ডের নাসের হুসেইন টানা ১০ টেস্টে টস হেরেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রায়ান লারা ওয়ানডেতে হেরেছিলেন টানা ১২ বার। সেই তুলনায় গিলের পথচলা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। কিন্তু ভারতের এই তরুণ অধিনায়ক যদি দ্রুত ভাগ্যের চাকা না ঘোরাতে পারেন, তবে হয়তো ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্ভাগা অধিনায়কদের তালিকায় নাম লেখাতে দেরি হবে না।
