জিতলে সেমির আশা বেঁচে থাকবে আর হারলেই বিদায়! চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এমন কঠিন সমিকরণের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৩৭ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। রোববার পাকিস্তানের মাটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির পিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের টস হেরে ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরু করে ওপেনার তানজিদ হাসান ও নামজুল হোসেন শান্ত। ওপেনিং জুটিতে তারা ৫০ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু মাইকেল ব্রেসওয়েলের বোলিং তোপে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশের টপঅর্ডার। দারুণ শুরুর পরও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি ওপেনার তামিম।
ইনিংসের নবম ওভারে ব্যক্তিগত ২৪ রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দেন। তার ২৪ বলের ইনিংসে এক বাউন্ডারি ও দুই ছক্কা রয়েছে। একে একে ব্যর্থ মিরাজ,তাওহিদ হৃদয়, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ। মেহেদী হাসান ১৪ বলে ১৩ করে উইল ও’রুর্কের বলে স্যান্টনার হাতে ক্যাচ দেন।
হৃদয় ২৪ বলে ৭ রান করে ব্রেসওয়েলের বলে উইলিয়ামসনে তালুবন্দি। মুশফিক ৫ বলে ২ রান করে ব্রেসওয়েলের বলে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ধরা পড়েন এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৪ বলে ৪ রান করে ব্রেসওয়েলের তালুবন্দি।
২৬.১ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ৫ উইকেটে ১১৮ রান। দলের বিপদে শান্তর সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জাকের আলী। কিন্তু তাদের ৬৭ বলে ৪৫ রানের জুটির পর ফের অঘটন! এবার শান্তকে বিদায় করেন রুর্কে। ১১০ বলে ৯ বাউন্ডারিতে দলীয় ১৬৩ রানের মাথায় ৭৭ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত।
শেষ দিকে জাকের আলী ও রিশাদের জুটিতে বাংলাদেশকে কিছুটা আশা জাগায়। তিন্তু তাদের ৩৫ বলে ৩৩ রানের জুটি ভাঙে ম্যাচ হেনরি। রিশাদ ২৫ বলে দুই বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৬ রান করে ক্যাচ তুলে দেন স্যান্টনার হাতে। ৪৩.১ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৭ উইকেটে ১৯৬।
এরপর তাসকিনকে নিয়ে ৩০ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন জাকের আলী। কিন্তু দলীয় ২৩১ রানের মাথায় রান আউটের শিকার হন জাকের। ৫৫ বলে তিন বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শেষ দিকে তাসকিন ১০ রান করে বিদায় নেন। তবে মোস্তাফিজ ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে মাইকেল ব্রেসওয়েল ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৬ রানে একাই তুলে নেন চার উইকেট। এছাড়া উইল ওরুর্ক ১০ ওভারে ৪৮ রানে নেন দুটি উইকেট।