১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত আইপিএলে প্রথমবারের মতো ট্রফি হাতে তুলে নেয় বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে সেই আনন্দের আবহ মিলিয়ে যায় মাত্র একদিনের মধ্যেই। শিরোপা উদযাপনের সময় বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত উৎসবে পদদলিত হয়ে মারা যান ১১ সমর্থক, আহত হন আরও অন্তত ৫৬ জন। সেই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুরো ৮৬ দিন সামাজিক মাধ্যমে একেবারে নীরব ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সাধারণত বড় লিগের ক্লাবগুলো সারাবছর নানা আয়োজন ও কনটেন্টে ভক্তদের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কিন্তু শোক কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ তিন মাস সময় নিয়েছে বেঙ্গালুরু। শুধু প্রাণহানি নয়, ওই ঘটনার প্রভাব পড়ে তাদের ক্রিকেট কার্যক্রমেও। দুর্ঘটনার পর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মহারাজা টি-টোয়েন্টি ট্রফি আয়োজনের অনুমতি পায়নি তারা। এমনকি আসন্ন মেয়েদের বিশ্বকাপের নির্ধারিত ম্যাচগুলোও সরিয়ে নেওয়া হয় অন্য ভেন্যুতে।
অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ভক্তদের উদ্দেশে এক বিবৃতিতে নীরবতার কারণ জানায় শিরোপাধারীরা। সেখানে বলা হয়—
“আমাদের এই দীর্ঘ নীরবতা অনুপস্থিতি নয়, বরং শোকের প্রকাশ। ৪ জুনের ঘটনার পর ক্লাব ও সমর্থকরা একসঙ্গে ভেঙে পড়েছিল। সেই আত্মমগ্নতার সময়েই জন্ম নিয়েছে নতুন উদ্যোগ ‘আরসিবি কেয়ার্স’।”
ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আরও যোগ করে,
“এই প্ল্যাটফর্ম কেবল প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য নয়, বরং ভক্তদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতা প্রকাশের জায়গা। আমাদের প্রত্যাবর্তন উদযাপনের জন্য নয়—বরং একসঙ্গে সুস্থতার পথে হাঁটার জন্য।”
বেঙ্গালুরুর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “খুব শিগগিরই আরসিবি কেয়ার্স কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। ‘কর্ণাটকের গর্ব’ হয়ে সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানোই এখন আমাদের অঙ্গীকার।”
