বিফলে গেলো অ্যালেক্স রসের লড়াকু অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংস। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি ব্যাটে ঝড় তুললেও অন্য প্রান্ত দিয়ে আসা-যাওয়ার মিছিলের কারণে ফরচুন বরিশালের করা ১৮৬ রানের জবাবে ৮ উইকেটে ১৫৯ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুর্দান্ত ঢাকাকে।
বল হাতে ৬ বলে ২৩ রান। বোলিংয়ে নেমে ৩১ রান দিয়ে তিন উইকেট। সব মিলিয়ে সাইফুদ্দিনের দারুণ অলরাউন্ডার নৈপূণ্য। অবশ্য ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তামিম ইকবাল। তাতে নিশ্চয়ই মন খারাপ করার কথা নয় সাইফুদ্দিনের। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে বরিশাল।
বরিশালের করা ৬ উইকেটে ১৮৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে ঢাকা। বাহাতি অর্থোডক্স প্রোটিয়া কেশভ মহারাজ প্রথম ওভারেই ডেঞ্জারম্যান মোহাম্মদ নাইমের উইকেট তুলে নেন। দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন সাইফুদ্দিন। তুলে নেন ইংলিশ ব্যাটার অ্যাডাম রোজিংটন ও ঢাকার দেশীয় রিক্রুট সাইফ হাসানের উইকেট।
অবিচল ছিলেন অ্যালেক্স রস। কিন্তু থামাতে পারেন অন্য প্রান্তের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৪৯ বলে তার ঝড়ো ৮৯ রানের বিপরীতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ রান করেছেন জিম্বাবুয়ের সিন উইলিয়ামস। ঢাকার পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১০ রান করে এসেছে ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও তাসকিন আহমেদের ব্যাটে।
বরিশালের দুই বোলার সাইফুদ্দিন ও খালেদ আহমেদ নিয়েছেনি তিনটি করে উইকেট। একটি করে পেয়েছেন কেশভ মহারাজ ও ক্যারিবীয় ওবেড ম্যাককয়।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে, এর আগে টস জিতে ব্যাটিয়ে নেমে টপ অর্ডারের দারুণ ব্যাটিংয়, তামিম ইকবালের ইনিংস সর্বোচ্চ ৭১ রানের পর লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ৬ বলে অপরাজিত ২৩ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানের পাহাড় গড়েছে ফরচুন বরিশাল।
পাকিস্তানী রিক্রুট আহমেদ শেহজাদের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান তোলেন তামিম ইকবাল। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে আহমেদ শেহজাদ বিদায় নিলে তামিমের সাথে জুটি গড়েন সৌম্য। ৭১ রান করা তামিম বিদায় নিলে ১২৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ঢাকা।
উইকেটে এসে থিতু হওয়ার আগেই ১০ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ। দলীয় ১৫৭ রানে ২৩ বলে ২৮ করা সৌম্য আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহীম তিন রানের মধ্যেই ফিরে যান। তিন বলে এক রান আসে মুশফিকের ব্যাটে। পরে মেহেদী মিরাজ দুই বলে কোন রান না করেই আউট হন। এর পর উইকেটে এসে ১৯তম ওভারে এক বল মোকাবিলা করেন জাতীয় দলে জায়গা হারানো অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।
বিশতম ওভারের প্রথম বলে পাকিস্তানী ব্যাটার শোয়েব মালিক এক রান করে সাইফুদ্দিনকে স্ট্রাইক দেন। পরে শরিফুলের করা ওভারটিকে পাঁচ বল খেলার সুযোগ পান সাইফুদ্দিন। দুটি করে চার ও ছক্কা হাকানোর পর শেষ বলটিকে দুই রান করে ২২ রান তুলে নেন ক্ষ্যাপাটে এই অলরাউন্ডার।
