২০২০ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সার্বিয়ান মডেল ও অভিনেত্রী নাতাশা স্তানকোভিচকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)-এ এমন কোনো ম্যাচ নেই, যেখানে নিজের প্রিয়তমকে অনুপ্রেরণা যোগাতে মাঠে থাকতেন না নাতাশা। বিয়ের বছরেই তাঁদের ঘরে আসে পুত্রসন্তান অগস্ত্য। সবকিছু চলছিলো ছবির মতই। ২২ গজের মতো পারিবারিক জীবনেও রাজার মতোই ছিলেন পান্ডিয়া। তবে হঠাৎ করেই সব যেনো লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এলোমেলো হয়ে যায় পান্ডিয়ার জীবন ও ক্যারিয়ার।
সময় ঘুরিয়ে আবারো রাজকীয় প্রত্যাবর্তন করেছেন হার্দিক। হয়েছেন টি-টোয়েন্টির বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সুনিপুণ পারফরম্যান্সে ১৭ বছর পর ভারতকে এনে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা। জেতার পরে মাঠে বসে বাচ্চাদের মতো কেঁদেছেন। ভিডিও কলে উজাড় করে দিয়েছেন নিজের সব আবেগ। নেটিজেনদের একাংশের অনুমান ছিল হার্দিক হয়তো স্ত্রী নাতাশার সঙ্গেই কথা বলছেন। সম্পর্ক হয়তো জোড়া লেগেছে। তবে নতুন করে জল্পনা ঘনীভূত হয়; যখন দেখা যায় ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরও হার্দিককে নিয়ে একটা বর্ণও খরচ করেননি নাতাশা। তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় কোথাও নেই হার্দিকের জয়ের কোনও চিহ্ন। যদিও ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ছেলের ছবি দিয়ে নাতাশা বুঝিয়ে দিয়েছেন আপাতত গোটা সময়টা তিনি ছেলে অগস্ত্যকেই দিচ্ছেন।
এদিকে বিচ্ছেদে জল্পনার মাঝেই ইনস্টাগ্রামে একটা ভিডিও পোস্ট করেন নাতাশা। যেখানে তাঁকে নিজের গাড়িতে যেতে যেতে বলতে শোনা যায়, তিনি ‘নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন’, যেটা কাউকে ‘নিরুৎসাহিত, হতাশ, দুঃখী এবং হারিয়ে যাওয়া’র অনুভূতি দেয়।
নাতাশাকে সেই ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, ‘আমি এমন কিছু পড়ার জন্য অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে পড়েছিলাম যা আজ আমার সত্যিই শোনা দরকার ছিল। এই কারণেই আমি আমার বাইবেলটি গাড়িতে আমার সঙ্গেই নিয়ে এসেছি। কারণ আমি এটা পড়তে চেয়েছিলাম তোমাদের সকলকে শোনাতে চেয়েছিলাম। যেখানে বলা হয়েছে, ‘ঈশ্বর তোমাদের আগে আগেই যাচ্ছেন, তিনি তোমার সঙ্গেই আছেন। তিনি কখনও তোমাদের ত্যাগ করবেন না। তাই ভয় পেয়ো না, হতাশ হয়ো না’।
নাতাশার এই ভিডিও হার্দিকের সাথে তাঁর বিচ্ছেদের গুঞ্জনেই আগুন ধরিয়েছে। এদিকে হার্দিকের সফল্য, ভারতের জয়ে শুভেচ্ছা না জানানোর কারণে নেটিজেনদের একাংশ নাতাশা স্ট্যনকোভিচকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি।