সিলেট টেস্টে হারের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের প্রথম দিন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তবে এদিন চট্টগ্রামে টস ভাগ্য পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী জিম্বাবুয়ে।
ব্যাকফুটে থাকা বাংলাদেশ অনুমিতভাবেই এই টেস্টের একাদশে এনেছে তিন বদল। অভিষেক হয়েছে পেসার তানজিম হাসান সাকিবের।
সোমবার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তিন বছর পর টেস্টে ফিরেছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়, এছাড়া একাদশে এসেছেন অফ স্পিনার নাঈম হাসান। সিলেটে প্রথম টেস্টের পর নাহিদ রানা পিএসএল খেলতে যাওয়ায় একটা বদল অবধারিত ছিলো।
তার জায়গায় স্পিন শক্তি বাড়ানো হয়। সিলেট টেস্ট খেলা খালেদ আহমেদকে বসিয়ে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তানজিমকে। ডানহাতি এই পেসার বাড়তি গতি আদায় করতে পারবেন বলে মনে করেন বাংলাদেশের কোচ ফিল সিমন্স। এছাড়া তার ব্যাট করার সামর্থ্যও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলা বিজয় ফেরায় একাদশের বাইরে চলে যেতে হয়েছে মাহমুদুল হাসান জয়কে। বিজয় সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে চার সেঞ্চুরিতে করেছেন ৮৭৪ রান।
দিনের শুরুতে বল হাতে জ্বলে উঠে বাংলাদেশ। অভিষেকেই উইকেটে তুলে নেন তানজিম সাকিব। এরপর তাইজুল। ফলে ২ উইকেটে ৮৯ রান নিয়ে লাঞ্চে জিম্বাবুয়ে। দিনের দ্বিতীয় সেশনটা নিজেদের করে নেয় সফরকারীরা। বাংলাদেশের বোলাারদের হতাশ করে দ্রত এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
শেষ বিকেলে তরুণ স্পিনার নাঈশ শেখকে সাথে নিয়ে জ্বলে উঠেন স্পিনার তাইজুল। বল হাতে একাই গুঁড়িয়ে দেন জিম্বাবুয়ে। তবে জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করা কেন উইলিয়ামসনকে ফেনার নাঈম।
আর তাইজুলের স্পিন ভেলকিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ৮৪.১ ওভারে ২১৭ রানে ৯ উইকেট হারায় সফরকারীরা। দিনের খেলা শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৯০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান। বল হাতে তাইজুল ইসলাম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৬তম ফাইফার।
২৭ ওভার বোলিং করে ২.২২ ইকোনমিতে ৬০ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া নাঈম শেখ ২০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ২.১০ ইকোনমিতে নেন দুই উইকেট। অভিষিক্ত সাকিব ১০ ওভারে ৪৯ রানে শিকার করেন একটি উইকেট।