তানভির ইসলামের ৫ উইকেটের ভর করে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কাকে ১৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ফিরলো বাংলাদেশ। মাঝারি মানের লক্ষ্য ডিফেন্ড করে ফিনিক্স পাখির মতো ফিরে এলো খাদের কিনারায় থাকা বাংলাদেশ দল। দুর্দান্ত এটাকিং ক্যাপ্টেনসির নিদর্শন রাখলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, আর বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ ওভার পাঁচ বলে অল আউট হওয়ার আগে ২৪৮ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে ৪৮ ওভার ৫ বলে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ২৩২ রান করে স্বাগতিক দল।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে ঠান্ডা মাথায় রানের চাকা সচল রাখেন তরুণ বাঁহাতি ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তবে মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়ান তাওহিদ হৃদয়। অনমনীয় ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে তুললেও রান আউট হয়ে থেমে যেতে হয় তাঁকে।
শেষদিকে তানজিম সাকিবের ঝড়ো ক্যামিও ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশ তোলে ২৪৮ রানের লড়াকু পুঁজি।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এরপর কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসের পার্টনারশিপে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় লংকানরা।
ঠিক তখনই বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটিং লাইনআপ। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে কার্যত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি।
শেষদিকে জেনিথ লিয়ানাগে একাই লড়াই করেন। তাঁর ৭৮ রানের সাহসী ইনিংসে ম্যাচ জমে উঠলেও মুস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞ ডেথ বোলিংয়ের সামনে তাকে হার মানতেই হয়। অভিজ্ঞতা যে কোনো বাজারে কেনা যায় না, আর মুস্তাফিজের ডেথ বোলিং বাংলাদেশের জন্য ঠিক তেমনই অমূল্য।
সিরিজে এখনও ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও দলটির পটেনশিয়াল নিয়ে কোনো দ্বিধা নেই। শেষ ম্যাচে জিততে পারলে সিরিজ নিজেদের করে নিতে পারবে টাইগাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
টস : বাংলাদেশ (ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত)।
বাংলাদেশ ২৪৮/১০ (৪৫.৫ ওভার)
শ্রীলঙ্কা : ২৩২/১০ (৪৮.৫ ওভার)
ফল : বাংলাদেশ ১৬ রানে জয়ী।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ : তানভির ইসলাম।