বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। তারই ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু অভিযোগ করেছেন-ব্যক্তিগত কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরার পর তাসকিন তাদের গাড়িতে তুলে পিটিয়েছেন।
ভুক্তভোগী সিফাতুর রহমান সৌরভ, যিনি তাসকিনের বাল্যবন্ধু, দাবি করেন—গত রোববার সন্ধ্যায় তাকে জোর করে নিজের গাড়িতে তুলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন তাসকিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরেক বন্ধু ইশতিয়াক হৃদয়। তাকেও মারধর করেন জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
সৌরভ বলেন, ‘দিন শেষে যাকে পাচ্ছে তাকেই মারছে। আবার মারার পর হসপিটালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসাও করাচ্ছে, টাকা দিচ্ছে।’
ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে, এমন প্রশ্নে সৌরভ ও হৃদয় জানান, মদ্যপান ও নারীসঙ্গের মতো বিষয়কে ঘিরে তাসকিনের জীবনধারার সঙ্গে তারা দ্বিমত পোষণ করেন এবং সেই কারণেই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আর সেটিই এই ঘটনার মূল কারণ বলে দাবি তাদের।
সৌরভের ভাষ্য অনুযায়ী, মিরপুর-১ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গাড়িতে তুলে কাঁধে হাত দিয়ে হঠাৎ ঘুষি মারতে শুরু করেন তাসকিন। ‘আমাকে ধরে হঠাৎ করে শুধু মাথায় ঘুষি দিছে। গাড়ির মধ্যে আমাকে ছাড়ছেই না,’ বলেন সৌরভ।
অন্যদিকে, ইশতিয়াক জানান, তাকে দিয়েই সৌরভকে ডেকে আনিয়েছিলেন তাসকিন। পরে দুজনকেই মারধর করে গুম করার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ইশতিয়াক বলেন, ‘(তাসকিন) বলতেছে সৌরভরে ফোন দে। আমি বললাম, “না”, সৌরভকে কেন ফোন দিবো। সে বলে, ওর ওপর আমার জিদ আছে।’
ঘটনার পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সৌরভ ও ইশতিয়াককে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৌরভের খালা ঝুমা খান। তিনি বলেন, ‘আমিও বাইরে ছিলাম, এসে দেখি আমার এই ভাগ্নেকে মেরে-ধরে একাকার অবস্থা।’
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজ মিডিয়া থেকে একাধিকবার ফোন করলেও তাসকিন আহমেদকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা আবদুর রশিদ ফোনে বলেন, ‘থুতু মারলে তো আমাদের ওপরেই পড়বে। কী বলবো রে মা, তোরা এগুলা বলিস না আর। এগুলা শুনলে লজ্জা লাগে। কোন সঙ্গে পড়ছিল আল্লাহ জানে।’
এ ঘটনার পর সোমবার মধ্যরাতে মিরপুর মডেল থানায় তাসকিনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগীরা। জিডির কপিটি নিউজ মিডিয়ার ছড়িয়ে গেছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















