ইংল্যান্ড সফরে টানা দুই ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়টা আগেই নিশ্চিত করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ইংল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করার দারুণ একটা সুযোগ ছিল প্রোটিয়াদের সামনে। কিন্তু সাউদাম্পটনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ম্যাচে যা হয়েছে তা প্রোটিয়াদের সিরিজ জয়ে কোনো সমস্যা হয়নি ঠিকই, তবে লজ্জার সাগরে ডুবতে হয়েছে তাদের। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবেছে তারা। ৩৪২ রানের ব্যবধানে হেরেছে।
প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড ৫ উইকেট হারিয়ে ৪১৪ রান করেছিল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭২ রানে অল আউট হয়। হারে ৩৪২ রানে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল ৩১৭ রানে। ২০২৩ সালে নিজেদের মাটিতে ভারতের কাছে এই রানে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় ব্যবধানে হারের রেকর্ড ছিল ২৭৬ রানে। গত মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই রানে হেরেছিল প্রোটিয়ারা।
ইংলিশ বোলারদের দাপটে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে, প্রথম চার ব্যাটারের মোট রান ছিল ৫। সাত রানের মধ্যে তারা চতুর্থ উইকেট হারিয়েছিল। ২৪ রানে হারায় ষষ্ঠ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ২০.৫ ওভারে ৭২ রানে অল আউট। জোফরা আর্চার নেন ৯ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া আদিল রশিদের শিকার ছিল ৩ উইকেট।
এর আগে ব্যাট হাতে রানের বন্যা বইয়ে দেন জো রুট ও জ্যাকব বেথেল। উভয়ে সেঞ্চুরি করেছেন। রুট করেছেন ১০০ রান। বেথের ১১০। তার আগে দুই ওপেনার জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেটের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৬২ ও ৩১। জস বাটলার ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৪১৪/৫ (৫০ ওভার)। (জো রুট ১০০, জ্যাকব বেল ১১০, জেমি স্মিথ ৬২, জস বাটলার ৬২* বেন ডাকেট ৩১; করবিন বোশ ২/৭৯, কেশব মহারাজ ২/৬১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৭২/১০ (২০.৫ ওভার)। (করবিন বোশ ২০, কেশব মহারাজ ১৭; জোফরা আর্চার ৪/১৮, আদিল রশিদ ৩/১৩)।
ফল : ইংল্যান্ড ৩৪২ রানে জয়।
ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: জো রুট।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩











