পাকিস্তান শাহীন্সের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন হায়দার আলি। সেই সময় তার বিরুদ্ধে ওঠে গুরুতর অভিযোগ—প্রথমে শ্লীলতাহানি, পরে অভিযোগ রূপ নেয় ধর্ষণে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ। তবে দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রমাণের অভাবে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন পাকিস্তানের এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
২৪ বছর বয়সী হায়দার আলি পাকিস্তানের হয়ে দুটি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও তার উপস্থিতি রয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছেন দুই মৌসুম—২০২২-২৩ আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে একটি ম্যাচ এবং সর্বশেষ আসরে চিটাগং কিংসের হয়ে ১২ ম্যাচ খেলেন তিনি।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ম্যানচেস্টার পুলিশ ও ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিস (সিপিএস) নিশ্চিত করেছে হায়দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অপরাধ আইনে বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার মঈন খানের সহায়তায় আইনি লড়াই করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট ম্যানচেস্টারের একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন এক ব্রিটিশ-পাকিস্তানি নারী। ওই ঘটনার পরপরই পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
অভিযোগকারী নারী জানান, ২৩ জুলাই প্রথমবার ম্যানচেস্টারের হোটেলে হায়দারের সঙ্গে দেখা হয়েছিল তার। এরপর ১ আগস্ট ফের অ্যাশফোর্ডে দেখা করেন তারা। মাত্র চার দিন পরেই তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। তবে হায়দার সব অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশকে জানান, তাদের মধ্যে কেবল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল এবং এমন অভিযোগ তার জন্য অপমানজনক।
পরে হায়দারকে কেন্টের স্পিটফায়ার কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ক্যান্টিন থেকে আটক করা হয় এবং নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টারবারি থানায়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে। একই সঙ্গে বোর্ড নিশ্চিত করেছিল যে পুরো প্রক্রিয়ায় হায়দারের আইনি অধিকার রক্ষায় সহায়তা দেওয়া হবে।
পুলিশ এখন নিশ্চিত করেছে, হায়দার চাইলে যুক্তরাজ্য ছেড়ে ফিরে যেতে পারবেন। ইতোমধ্যে তিনি নিজের পাসপোর্ট ফেরত নিয়েছেন।
