বিমানবন্দরে নাঈম শেখদের জন্য অপেক্ষা করছিল তিক্ত এক রাত। আফগানিস্তান সিরিজ শেষে দেশে ফিরেই দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। কেউ শুনেছেন দুয়ো, কেউ–বা পরিবারের সামনেই হয়েছেন হেনস্তার শিকার। সেই অভিজ্ঞতা নাঈমের জন্য ছিল সবচেয়ে তীব্র—তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ক্ষোভের ঝড় বইয়ে দেয় দর্শকেরা। পরের দিন নিজের ভেতরের কষ্টটাই ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন বাঁ–হাতি এই ওপেনার।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাঈম লিখেছেন,
“আমরা যারা মাঠে নামি, আমরা শুধু খেলি না। দেশের নামটা বুকে নিয়ে নামি। লাল–সবুজ পতাকাটা শুধু শরীরে নয়, রক্তে মিশে থাকে। প্রতিটা বল, প্রতিটা রান, প্রতিটা শ্বাসে চেষ্টা করি সেই পতাকাটাকে গর্বিত করতে। হ্যাঁ, কখনো পারি, কখনো পারি না। জয় আসে, পরাজয়ও আসে—এটাই খেলাধুলার বাস্তবতা। জানি, আমরা যখন হেরে যাই, তখন আপনাদের কষ্ট হয়, রাগ হয়। কারণ আপনারাও এই দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবাসেন।”
তিনি আরও লেখেন,
“কিন্তু আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা, গাড়িতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসা–চেষ্টার ঘাটতি রাখি না। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।”
সমর্থকদের উদ্দেশে নাঈম আহ্বান জানিয়েছেন,
“ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়। সমালোচনা হোক যুক্তিতে, রাগে নয়। কারণ আমরা সবাই একই পতাকার সন্তান। জয় হোক, পরাজয় হোক, লাল–সবুজ যেন আমাদের সবার গর্ব থাকে, ক্ষোভের নয়। আমরা লড়ব, আবার উঠব—দেশের জন্য, আপনাদের জন্য, এই পতাকার জন্য।”
আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। বিশেষ করে শেষ দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১০৯ ও ৯৩ রানে অলআউট হয়ে বড় হারের লজ্জায় পড়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই জমানোর পর হেলায় হারানোর সেই হতাশা যেন ফের জেগেছে সমর্থকদের মনে। তিন ম্যাচের সিরিজে কেবল শেষ ওয়ানডেতে খেলেছেন নাঈম শেখ, যেখানে ২৪ বলে করেছেন মাত্র ৭ রান।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















