গল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরানোর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। কিন্তু নাঈম ইসলামের ঘূর্ণিতে ম্যাচের লাগাম এখনও বাংলাদেশের কাছে। টেস্টের এক ইনিংসে নাঈমের চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট শিকারে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৮৫ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ১০ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদের্ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান নিয়ে চতু্র্থ দিনের খেলা শেষ করেছে। ফলে বাংলাদেশের লিড এখন ১৮৭ রানের।
প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৬ ও মুশফিকুর রহিম ২২ রানে অপরাজিত আছেন। শান্ত প্রথম ইনিংসে ১৪৮ ও মুশফিক ১৬৩ রান করেছিলেন।
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিন চার উইকেটে ৩৬৮ রান নিয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামেনে শ্রীলঙ্কার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। দিনের তৃতীয় ওভারেই নাঈমের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটে পেছনে ক্যাচ দেন অধিনায়ক ধানঞ্জয়া ডি সিলভা (১৯)। কিছু সময় পর হাসান মাহমুদের লেগ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিতে উইকেট হারান কুশল মেন্ডিস।
জোড়া উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে ৮৪ রান তুলে নেন কামিন্দু মেন্ডিস ও মিলান রাত্নায়াকে জুটি। ৩৯ রান করে হাসানের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন মিলান। পরের ওভারেই কামিন্দু মেন্ডিস নাঈমের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বিদায় নেন। ফেরেন ৮৭ রান করে। শেষ দুই উইকেট দ্রুত নিয়ে নাঈম পূরণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ৫ উইকেট। শ্রীলঙ্কা ১৫ রানের মধ্যে হারায় শেষ চার উইকেট।
১০ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই চার রান করা এনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায়। ঘরোয়া ক্রিকেট রানের ঝড় তোলা বিজয় গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে আউট হন ১০ বলে শূন্য রান করে। এরপর মুমিনুল হক আউট হয়ে যান ১৪ রান করে। সুইপ করার চেষ্টায় বল তার ব্যাট ছুঁয়ে হেলমেটে লেগে যায় শর্ট পয়েন্ট ফিল্ডারের হাতে।
তবে দারুণ ব্যাটিং করেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষ পর্যন্ত ৭ চারে ১২৬ বলে ৭৬ করে আউট হন সাদমান। এরপর অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটিতে দিন শেষ করেন প্রথম ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান শান্ত ও মুশফিক।
১১৩ বলে ৫৬ রান নিয়ে অপরাজিত শান্ত আর ৪৩ বলে ২২ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৪৯৫
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৮৫
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৫৭ ওভারে ১৭৭/৩ (সাদমান ৭৬, এনামুল ৪, মুমিনুল ১৪, শান্ত ৫৬, মুশফিক ২২; আসিথা ৮-০-৩১-০, জয়াসুরিয়া ১৭-১-৪৮-১, থারিন্ডু রাত্নায়াকে ১৪-০-৫১-১, মিলান রাত্নায়াকে ৯-৪-১৩-১, ধানাঞ্জায়া ৮-০-২৭-০, কামিন্দু মেন্ডিস ১-০-২-০
