ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শেষ ম্যাচ জিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় করেছিল পাকিস্তান। ওয়ানডে সিরিজেও সেই একই সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু শেষ ম্যাচে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। পাকিস্তান সফরকারী দলের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, লজ্জায় ডুবেছে। বড় রানের ব্যবধানে হারের লজ্জা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের জবাবে পাকিস্তান মাত্র ৯২ রানে অল আউট হয়। হার ২০২ রানে। এ জয়ের মাঝ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ বছর পর সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব দেখাল।
ব্যাট বল হাতে পাকিস্তানকে একেবারে নাস্তানাবুদ করেছে ছেড়েছে স্বাগতিক দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটা তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়। এই নিয়ে চতুর্থবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে ম্যাচে দুইশ বা তার বেশি ব্যবধানে জয়ের দেখা পেল। এর আগে তারা এই ব্যবধানে নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়টি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। ২০১১ দিল্লিতে এই জয়ে পেয়েছিল কিউইরা।
অধিনায়ক শাই হোপ ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সত্যিকার নেতা। ১২০ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দেন। ৯৪ বলে তিনি এই ইনিংসটি ১০টি বাউন্ডারির পাশাপাশি পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার ১৮তম সেঞ্চুরি। শতকের তালিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের মধ্যে তিনি এখন ক্রিস গেইল (২৫) ও ব্রায়ান লারার পরেই রয়েছেন। লারার সঙ্গে তার সেঞ্চুরির সংখ্যার ব্যবধান মাত্র ১। লারার ১৯টি, শাই হোপের ১৮টি। শেষ দিকে এসে রোস্টন চেজ আর জাস্টিন গ্রিভেস পাকিস্তান বোলারদের হতাশায় ডুবিয়েছেন।
রোস্টন ৩৬ ও গ্রিভেস ৪৩ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ১০ ওভারে ওভার প্রতি ১১ রানের মতো করে জড়ো করেছে।
ব্যাট হাতে নেমেই পাকিস্তান টের পায় সামনের পথটা কতটা বন্ধুর। টস জয়ের পর প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে দেওয়ার ভুলটাও তারা বুঝতে পারে। প্রথম চার ব্যাটারের মোট সংগ্রহ ৯ রান। এই রান করেছেন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। বাকি তিন ব্যাটার কোনো রান পাননি।
পাকিস্তানকে পাখির পালকের মতো উড়িয়ে দেওয়ার কাজটি করেছেন জেডেন সিলস। মোট ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রথম চার ব্যাটার এই পেসারের শিকার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দশম বোলার হিসেবে ওয়ানডে ইনিংসে ৬ উইকেট শিকার কীর্তি গড়েছেন সিলস। ৭.২ ওভারে ১৮ রানে এই জয় উইকেট শিকার করেন তিনি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















