চলতি বিশ্বকাপে এবার মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। হায়দারাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছে ৯৬ এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা ও ৯২ এর চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। গেলো ম্যাচে ডাচদের বিপক্ষে ব্যাটিংয় পরীক্ষা দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে শ্রীলঙ্কা। শুধু তাই না, ধীরগতির ওভারের জন্য জরিমানা গুণতে হয়েছে দাসুন শানাকার দলকে।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে নিজেদের শুভ সূচনা করেছে পাকিস্তান। ম্যাচ শুরুর দিকে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলো বাবর আজমের দল। যদিও রিজওয়ান ৭৫ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে সেই বিপদ থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করেছেন। শুধু তাই না, ৮টি ৪ মেরে ম্যাচকে এগিয়ে দেয় রিজওয়ান। আর এই আত্মবিশ্বাসে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে ভালো করতে আত্মপ্রত্যয়ী রিজওয়ান।
এদিকে পাকিস্তান দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের ভারতে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ভারতে আসার আগে তাই কন্ডিশন নিয়ে সাঈদ আনোয়ারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ প্রসঙ্গে রিজওয়ান বলেন, ‘ক্রিকেটে খেলার কন্ডিশন আগে থেকে বোঝার উপায় নেই। এমনকি একটি ম্যাচের মধ্যেও। সময়ের সাথে সাথে পিচের আচরণ পরিবর্তন হয়। তাই সব ধরনের পরিস্থিতির জন্যই নিজেকে তৈরি থাকতে হবে। ম্যাচ অনুশীলনের কোনো বিকল্প নেই এবং এটা নেট সেশনের থেকে ভিন্নরকম।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের বর্তমান কোচ মিকি আর্থার বলছেন, শ্রীলঙ্কার শক্তি ও দূর্বলতা সম্পর্কে তিনি অবগত। কেননা তিনি এর আগে শ্রীলঙ্কারও কোচ ছিলেন। তাই মঙ্গলবারের ম্যাচটি মিকি আর্থারের জন্য আবেগপূর্ণ ম্যাচ হবে। মিকি আর্থার বলেন, হ্যাঁ, আমি তাদের (শ্রীলঙ্কার) শক্তি এবং দুর্বলতা জানি। তাই আমরা তাদের সবার জন্য পরিকল্পনা করবো। তারা একটি বিপজ্জনক দল, তাই তাদের পরাজিত করার জন্য আমাদের সেরাটা নিংড়ে দিতে হবে।’
বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার যাত্রা শুরু ১৯৭৫ সালে। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের প্রথম পাঁচ আসরে হতাশা নিয়েই দেশের বিমান ধরে তারা। ১৯৯৬ সালে শিরোপা জয় ছাড়াও দুইবার ফাইনাল ও একবার সেমিফাইনাল খেলেছে লঙ্কানরা। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা এর আগে ১৫৫ বার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে। যার মাঝে ৯২ বার জয় পেয়েছে পাকিস্তান আর লঙ্কানরা জয় পেয়েছে ৫৮ ম্যাচে।
