আইপিএলের মাঝ পথে দিল্লি ক্যাপিটালসে রেকর্ড দামে যোগ দিয়েও দলকে শেষ চারে তুলতে পারেননি বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে বাংলাদেশের আর এক তারকা পাকিস্তান সুপার লিগ, পিএসএলে ঠিকই চমক দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন।
অবশ্য সেখানে ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। কথায় বলে, সময় যখন পক্ষে যায় তখন সবকিছু কতোই না সহজ। বিপক্ষে গেলে সবকিছুই প্রতিকূলে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ব্যাক টু ব্যাক ডাক। এও দেখতে হলো সাকিব আল হাসানকে। যদিও সাকিব যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন তখন ইনিংসের বাকি ছিল মাত্র তিন বল।
সাকিব না পারলেও এক বাউন্ডারিতে ২ বলে পাঁচ রান করেছেন আরেক টাইগার অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন। যদিও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ততক্ষণে রান পার হয়েছে ২০০। তাতে টপ থেকে মির্ডল অর্ডার সবাই পেয়েছেন রানের দেখা। ফখর জামান ১২ করে ফিরলেও ফিফটির দেখা পেয়েছেন কুশল পেরেরা ও মোহাম্মদ নাঈম।
ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও ব্যর্থ সুপার সাকিব। বোঝাই গেছে অ্যাকশন পরিবর্তনে অনেকটাই ধার কমেছে তার। পাওয়ার প্লের শেষে বোলিং করতে এসে নিজের প্রথম ওভারে দিলেন ৯ রান। যদিও তখন ৩৩ রানে ইসলামাবাদের ছিল না সেরা চার ব্যাটসম্যান।
অবশ্য এখানেও সফল রিশাদ। প্রথম ওভারে দিলেন ১৪ রান কিন্তু ফিরে আসলেন দারুণভাবে। দ্বিতীয় ওভারে প্রথমেই ফেরালেন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা সালমান আগাকে। নিজের তৃতীয় ওভারে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দারুণ এক মনস্তাত্ত্বিক খেলায় মেতেছিলেন রিশাদ। তাকে ছক্কার মারার পরের বলেই ব্যাটসম্যান ফিরেছেন প্যাভিলিয়নে। সাদাব খানের পর, কট অ্যান্ড বোল্ডে আউট জিমি নিশামও।
অন্যদিকে সাকিব ব্যয়বহুল হয়েও উইকেটের দেখা পাননি। তিন ওভারে দিয়েছেন ২৭ রান। অবশ্য উইকেটের দেখা পেতেই পারতেন যদি হাফ চান্সকে পূর্ণতা দেয়া যেত। শেষ পর্যন্ত অবশ্য চওড়া হাসিতেই ম্যাচ শেষ করেছে লাহোর কালান্দার্স।
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারিয়েছে ৯৫ রানে। তাতে ফাইনালের সঙ্গে রিশাদের নিশ্চিত হলো আরো একটি ম্যাচ। তবে সেখানে সাকিব না মিরাজ কার সুযোগ মিলছে সে উত্তর আপাতত সময়ের হাতে। ২৫ মে ফাইনালে কালান্দার্সের প্রতিপক্ষ কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩












