পাকিস্তান সুপার লিগ পিএসএলে দুর্দান্ত বোলিংয়ে উড়ছেন বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন। পিএসএলে নিজের অভিষেকেই দ্যুতি ছড়াচ্ছেন টাইগার রিস্ট স্পিনার রিশাদ হোসেন। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে দুই ম্যাচেই পেয়েছেন ৩টি করে উইকেটের দেখা।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিটিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির খেতাব হিসেবে রিশাদ দখলে নিলেন ফজল মাহমুদ ক্যাপ। আইপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেয়ে থাকেন পার্পল ক্যাপ। আর পিএসএলে মেরুন রঙের ক্যাপ। তবে সে ক্যাপের নাম ফজল মাহমুদ ক্যাপ।
চলতি পিএসএলে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলেছেন রিশাদ। তার অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে লাহোর কালান্দার্স। বল হাতে দুই ম্যাচেই দারুণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। গত রোববার কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সের বিপক্ষে অভিষেক হয় তার।
রিশাদের অভিষেক ম্যাচে তার দল জিতেছিল ৭৯ রানে। ম্যাচটিতে ৪ ওভার বল করে ৩১ রান খরচায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ। এদিন করাচি কিংসের বিপক্ষে ৬৫ রানের ব্যবধানে জিতেছে লাহোর।
এই ম্যাচেও দলের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তিনি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। ফলে দুই ম্যাচ মিলিয়ে তার উইকেট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৬। আসরে অবশ্য ২ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন পাকিস্তানের আব্রার আহমেদও।
তবে ইকোনমি রেটে তিনি রিশাদের চেয়ে পিছিয়ে আছেন। রিশাদের যেখানে ওভারপ্রতি খরচ ৭.১২, সেখানে আব্রারের খরচ ৯.৩৭। লাহোরের পরবর্তী ম্যাচ ২২ এপ্রিল মুলতান সুলতান্সের বিপক্ষে।
একই সাথে পাকিস্তানের এই লিগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকায় দুইয়ে এখন এই লেগস্পিনারের নাম। সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, এই দুজনের ঝুলিতে আছে ৮ উইকেট। আর মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট ৪টি।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে পিএসএলে এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটের তালিকাতেও দুইয়ে ২০২৫ আসরের রিশাদ। ২০১৬-১৭ মৌসুমে সাকিব আল হাসান পেশোয়ার জালমির হয়ে পেয়েছিলেন ৫ উইকেট।
২০১৭-১৮ মৌসুমে মুস্তাফিজ লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতেই পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। এই দুজনের কীর্তিই এখন রিশাদের পেছনে। সামনে আছেন কেবল মাহমুদউল্লাহ।
২০১৬-১৭ মৌসুমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেছিলেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের জার্সিতে। সেই আসরে পেয়েছিলেন ৭ উইকেট। দুর্দান্ত বেগে ছুটতে থাকা রিশাদ হয়ত খুব দ্রুতই নিজের করে নেবেন সব কীর্তি। পিএসএলে তার পরের ম্যাচ ২২ এপ্রিল মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে।