স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচে রান চাপায় বাংলাদেশ। জয় পেতে পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ। আজ ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশকে ৩৬৫ রান করতে হবে। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড ৩৬৪ রান করেছে।
টস জয়ের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু ব্যাট হাতে ইংলিশ ব্যাটাররা যে এতোটা ভয়ঙ্কর হবেন তা হয়তো তিনি অনুমান করতে পারেননি। যেমনটা পারেননি, বোলাররা তার আস্থার বোলাররা তার আস্থার প্রতিদান দিবেন কিনা তা বুঝতে পারার বিষয়টি। ইংলিশ ব্যাটাররা শুরু থেকে ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ায় রান বেড়েছে ঝড়ের গতিতে।
দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো এবং ডেভিড মালান নির্দয় ব্যাটিং করেছেন। তার যেনো নিজেদের মধ্যে একে অপরকে টপকে যাবার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। তাইতো স্কোরারদেরও ব্যস্ত সময় পার করতে হয়েছে। বিশ্বকাপে তো বটেই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটা খেলেছেন মালান এই বাংলাদেশের বিপক্ষে। ১৪০ রান করেছেন তিনি। এর আগে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ১৩৪ রানের।
বেয়ারস্টো ও মালান প্রথম উইকেট জুটিতে যা করেছেন তা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট হতাশার। ১১৫ রানের জুটি তাদের। মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মাহাদি হাসানের ব্যর্থতার পর সাকিব আল হাসান নিজেই এ জুটিতে ভাঙ্গন ধরান। তার বলে বোল্ড হন বেয়ারস্টো। ৫৯ বলে ৫২ রান করেন তিনি। আট বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটা।
দ্বিতীয় উইকেটে মালানের সাথে জুটি গড়ে জো রুটও বাংলাদেশের বোলারদের স্বস্তি দেননি। ১৫১ রানের পার্টনারশিপ তাদের। মাহাদি হাসান এ জুটি ভাঙ্গেন। আউট হন মালান। ১০৭ বলে ১৪০ রান করেন তিনি। ১৬টি বাউন্ডারির পাশাপাশি পাঁচ ছক্কায় তার ইনিংসের শোভা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে জো রুট করেন ৮২ রান। ৬৮ বলে তার ইনিংসে আটটি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ওভার বাউন্ডারি ছিল।
মূলত ইংল্যান্ডের ইনিংসটা এই তিন ব্যাটারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে। অন্যদের সংগ্রহ তেমন উল্লেখযোগ্য কিছু নয়। তারা এসেছেন আর ফিরেছেন। আর তাই একটা সময় ইংল্যান্ডের চারশ ছাড়িয়ে যাওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ তা থেকে রেহাই পেয়েছে।
মাহাদি হাসান ছিলেন বাংলাদেশের সফল বোলার। চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। আর তিন উইকেট শিকার ছিল শরিফুল ইসলামের। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
