আগের ম্যাচে জয়ের মাঝ দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা হারের সীমানা থেকে বের হয়ে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে। সেন্ট কিটসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে স্বাগতিক দল হেসেখেলে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে। ৪৫.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ২২৭ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৬.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
স্কোরই বলে দিচ্ছে কতটা সহজ আর স্বস্তির জয়। তবে ম্যাচে যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো অপূর্ণতা থেকে থাকে তাহেলে তা ব্রান্ডন কিংয়ের সেঞ্চুরি ও ইভিন লুইসের হাফ সেঞ্চুরি মিস। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্রান্ডন তা পূর্ণ করতে পারেননি। ৮২ রানে আউট হয়েছেন। আর লুইস একেবারে কিনারায় পৌঁছে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪৯ রানে আউট তিনি।
ব্রান্ডন কিং ও এভিন লুইসের ব্যাটিং বাংলাদেশকে হতাশায় ডোবায়। ১০৯ রানের জুটি তাদের। ৪৯ রানে লুইসকে আউট করে যে স্বস্তি পেতে চেয়েছিল বাংলাদেশ তা পেতে দেন কিসি কার্টি। তিনিও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয় উইকেটে ব্রান্ডনের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৪৭ বলে ৪৫ রান করেন কার্টি। ব্রান্ডন কিং নাহিদ রানার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭৬ বলে করেন ৮২ রান।
বাংলাদেশ মূলত ব্যাটিংয়ের কারণেই হেরে গেছে। প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করে জিততে পারেনি। এ ম্যাচে তো স্কোর আড়াইশও হয়নি। ব্যাটাররা চরমভাবে ব্যর্থ ছিলেন এ ম্যাচে। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। এ সময়ে বুড়ো হাড়ের ভেলকি দেখান মাহমুদউল্লাহ। দলের সর্বোচ্চ রানটা এসেছে তার ব্যাট থেকে। ৬২রানের ইনিংস তার। শেষ দিকে তানজিম হাসান সাকিব একটা স্বস্তিদায়ক ইনিংস না খেললে বাংলাদেশকে বড় লজ্জায় পড়তে হতো। নবম ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে আসা সাকিব ৪৫ রান করেন।
বাংলাদেশের মূল সর্বনাশটা করেন জেইডেন সিলস। ইনিংসের শুরুতে একের পর এক উইকেট তুলে নেন তিনি। ৫৪ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে তুলে নিয়ে তিনি বাংলাদেশের লড়াইয়ের শক্তিটা শুরুতেই নষ্ট করে দেন। সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মেহেদি হাসান মিরাজের পর মাহমুদউল্লাহ’র উইকেটও তার থলিতে জমা হয়েছে। ৯ ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।