বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে। বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সিরিজের টিকে থাকার লড়াই। ব্যাটে বলের লড়াই, তবে ব্যাট বলকে ছাপিয়ে ম্যাচের আগে সব নজর কেড়ে নিয়েছে পিচ। দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
সব সিরিজেই মিরপুরের পিচ নিয়ে একটা বাড়তি আলোচনা থাকে। উইকেট কেমন আচরণ করবে তা নিয়েই থাক আগ্রহ। এবার তো অবস্থা আরো বেশি। উভয় দলকে অন্য সময়ের চেয়ে পিচ নিয়ে বেশি সময় ধরে মাথা খাটাতে হচ্ছে।
আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও স্পিন বোলাররাই আধিপত্য করবে এটা চোখ বুজে বলে দেওয়া যায়। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের পিচটা যে স্পিন বান্ধব আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। স্পিনার ব্যবহার করেই বাংলাদেশ আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাবু করতে চায়। এগিয়ে যেতে চায় সিরিজে, সে সঙ্গে র্যাংকিংয়ে। সে কারণেই দলে তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে দলে নেওয়া হেয়েছে বাম হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে। প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ যখন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন কিন্তু বসে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তারাও দলকে স্পিন সমৃদ্ধ করার সব চেষ্টায় করে যাচ্ছে। বাম হাতি স্পিন অলরাউন্ডার আকিল হোসেনকে দলে নিয়ে শক্তি বাড়িয়েছে। টি-টোয়েন্টি দলে থাকা আকিল ঢাকায় পৌঁছেছেন। যেহেতু ওয়ানডের আগে ঢাকায় চলে এসেছেন সে কারণে তাকে দলে নেওয়া হয়েছে।
স্পিন বোলিংয়ে ভর করে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। রিশাদ হোসেনের ৬ উইকেট বাংলাদেশের জয়ে মূল ভুমিকা পালন করেছিল। কিন্তু ব্যাটারদের দিকে তাকালে হতাশই হতে হয়। তৌহিদ হৃদয় ও মাহিদুল ইসলাম ছাড়া অন্যরা ছিলেন ব্যর্থতার তালিকায়। ৬৩ রানে পতন হয় বাংলাদেশের শেষ ৭ উইকেটের।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা যে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে তা নয়। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে তারা অনেকটা অসহায়। তাদের সামনে এখন একটাই পথ উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















