বাংলাদেশের টি–টোয়েন্টি ব্যাটিং এখন যেন বদলে যাওয়া এক গল্প। এক সময় যেখানে বড় শটের অভাবে দলকে সমালোচনা শুনতে হতো, এখন সেখানে ছক্কার বন্যা বইছে। পরিসংখ্যানই বলছে, চলতি বছরই ভেঙে গেছে দেশের টি–টোয়েন্টি ইতিহাসের সব ছক্কার রেকর্ড।
২০২৪ সালে এক বছরে বাংলাদেশের ব্যাট থেকে উঠেছিল ১২২ ছক্কা—যা ছিল তখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। কিন্তু ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা অনেক আগেই পেছনে ফেলেছে লাল–সবুজ জার্সিধারীরা। এ বছর এখন পর্যন্ত ২৪ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা মেরেছেন ১৭১ ছক্কা।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এই সংখ্যায় বাংলাদেশ এখন দুই নম্বরে। শীর্ষে আছে পাকিস্তান—২৬ ম্যাচে ১৯০ ছক্কা। তাদের পরের স্থানগুলোতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৫ ম্যাচে ১৪৮), অস্ট্রেলিয়া (১১ ম্যাচে ১১১) এবং ইংল্যান্ড (১২ ম্যাচে ১০০)। সপ্তম স্থানে আছে ভারত, যারা ১২ ম্যাচে মেরেছে ৯৪ ছক্কা।
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের এই উত্থান হঠাৎ নয়, বরং গত দুই বছরে ছক্কা মারার প্রবণতায় এসেছে নাটকীয় পরিবর্তন। দীর্ঘ সময় এক বছরে ১০০ ছক্কার সীমা ছোঁয়া হয়নি বাংলাদেশের। ২০২১ সালে ২৭ ম্যাচে ছিল মাত্র ৮৩ ছক্কা, যা পেরিয়ে যায় ২০২৪ সালে, আর এবার ২০২৫–এ তৈরি হয়েছে নতুন রেকর্ড।
এই বছরও সামনে সুযোগ আছে আরও উঁচুতে ওঠার। মাসের শেষে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজেই নির্ধারণ হতে পারে দলটির নতুন উচ্চতা—ছক্কার সংখ্যা কি পৌঁছাবে দুই শতে? কাজটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক তিন ম্যাচের সিরিজই সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। শারজায় অনুষ্ঠিত সিরিজে বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে মেরেছিল ১০টি করে ছক্কা, প্রথম ম্যাচে ছিল ৮টি।
বিশ্ব ক্রিকেটে অবশ্য এগিয়ে আছে সহযোগী দেশগুলো। এ বছর সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছে অস্ট্রিয়া—৩২ ম্যাচে ২৮০টি। আর মাত্র ১০টি ছক্কা মারলেই তারা ছাড়িয়ে যাবে ভারতের ২০২২ সালের ২৮৯ ছক্কার রেকর্ড।
অন্যদিকে, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ছক্কা এসেছে আয়ারল্যান্ডের ব্যাট থেকে—৬ ম্যাচে মাত্র ৩০টি। তাদের ওপরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ১০ ম্যাচে ৬৯ ছক্কা নিয়ে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩















